রাজস্থানে চরমে রাজনৈতিক সংকট
অশোক গেহলটকে সভাপতি পদে প্রার্থী করতেই চরমে রাজনৈতিক সংকট। এক পদ এক ব্যক্তি নীতি মেনে কংগ্রেসের সভাপতি পদে নির্বাচিত হলে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে অশোক গেহলটকে। এক্ষেত্রে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী পদে সচিন পাইলটকে বসাতে চাইছে হাইকমান্ড। সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিক্ষোভ শুরু হয়ে গিয়েছে রাজস্থানে। অশোক অনুগামীরা প্রতাশ্যে ইস্তফ দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। গতকালই রাজস্থানের ৮২ জন বিধায়ক রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছেন।
নিরুত্তাপ গেহলট
যাঁর সমর্থনে তোলপাড় হচ্ছে রাজস্থান। সেই অশোক গেহলট কিন্তু এই নিয়ে নিরুত্তাপ। অনুগামীদের শান্ত করা বা বোঝানোর জায়গায় তিিন দায় এড়িয়ে গিয়েছে। অশোক গেহলট দাবি করেছেন এই পরিস্থিতিতে তাঁর কিছু করার নেই। অশোক গেহলটের এই বক্তব্য নতুন করে জল্পনা বাড়িয়েছে। তাহলে কী মুখ্যমন্ত্রী পদ ধরে রাখতেই গেহলট চুপ করে থাকার পন্থা নিয়েছেন। অশোক গেহলটের ইন্ধনেই কী বিদ্রোহ মাথাচারা দিয়েছে এই নিয়ে চলছে চাপান উতোর।
বিক্ষোভ দমনে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা
পরিস্থিতি সামাল গিতে রাজস্থােন পৌঁছে গিয়েছেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা। মল্লিকার্জুন খাড়গে থেকে শুরু করে একাধিক বিজেপি নেতা হাজির হয়েছেন সেখানে। অজয় মাকেন থেকে শুরু করে মল্লিকার্জুন খাড়গে সকলেই হাজির হয়েছেন রাজস্থানে। তাঁরা জানিয়েছেন বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের সঙ্গে তাঁরা কথা বলবেন এবং সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করবেন। প্রয়োজনে সোনিয়া গান্ধী তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও খবর। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কোনও ভাবেই গেহলট অনুগামী বিধায়করা সচিন পাইলটকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসাতে নারাজ।
সুযোগ খুঁজছে বিজেপি
রাজস্থানে এই রাজনৈতিক সংকটের মাঝে েয বিজেপি সুযোগ খুঁজবে না সেটা আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। সেটা বিজেপি করতে শুরু করলে রাজনৈতিক সংকট আরও চরমে উঠবে তাতে কোনও সন্দেহ েনই। এই নিয়ে বাড়ছে উত্তাপ। পরিস্থিতি আরও ঘোরাল হতে পারে শঙ্কায় কংগ্রেস শিবির। সেকারণে বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলতে তৎপরতা তুঙ্গে। সোনিয়া গান্ধী নিজে তৎপর হয়েছেন।