শিক্ষককের নির্মম মারের জেরে ১৫ বছরের এক দলিত কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। পরীক্ষার সময় বানান ভুল বলার কারণে দশম শ্রেণির ওই ছাত্রকে বেধড়ক মারেন শিক্ষক। ঘটনায় ওই দলিত কিশোর অসুস্থ হয়ে পড়েন। দলিত ওই ছাত্রের বাবা পুশিরে কাছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে।
জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে রাজ্যের ইটাওয়া জেলার একটি স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্রটির মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের কাছে অভিযোগে ছাত্রটির বাবা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত শিক্ষক অশ্বিনী সিং তাঁর ছেলেকে লাঠি, রড দিয়ে মারেন। এমনকী তাঁর ছেলেকে লাথিও মারেন। যতক্ষণ না তাঁর ছেলে অজ্ঞান হয়ে পড়ছে অভিযুক্ত শিক্ষক মারতে থাকেন। সমাজ বিজ্ঞানে একটি বানান ভুল করার জন্য কিশোরকে নির্মমভাব মারা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।
কিশোরের পরিবার ইতিমধ্যে একটি ভিডিও শেয়ার করেছে। সেখানে কিশোরকে একটি স্ট্রেচারে শুয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। তকিশোরের চোখ ফুলে গিয়েছে। তবে যখন ভিডিওটি করা হয়, কিশোরর জ্ঞান ছিল বলে জানা গিয়েছে। পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষক প্রথমে ছেলের চিকিৎসার জন্য ১০,০০০ টাকা দিয়েছিল। তারপর আরও ৩০,০০০ টাকা দেয়। পরে শিক্ষক ফোন বন্ধ করে দেন। শিক্ষকের সঙ্গে কিশোরের বাবা দেখা করতে গেলে জাত তুলে গালাগালি করে বলে অভিযোগ। সাংবাদিকদের কিশোরের বাবা বলেন, ছেলেকে নিয়ে একাধিক হাসপাতালে ঘোরা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ছেলেকে বাঁচানো গেল না।
উত্তরপ্রদেশের পুলিশ বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা দায়ের করেছে। অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতারের জন্য তিনটি দল গঠন করা হয়েছে। টুইটারে শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, আউরিয়ার পুলিশ প্রধান চারু নিগম বলেছেন, কিশোরের দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। কিশোরের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ফার্স্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট বা এফআইআর-এ তফসিলি জাতি এবং তফসিলি উপজাতি (অত্যাচার প্রতিরোধ) আইনের ধারাগুলি অন্তর্ভুক্ত করেছে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে কর্ণাটকে ধর্মীয় একটি অনুষ্ঠানের খুঁটি একটি কিশোর ভুলবশত ছুঁয়ে ফেলে। এই অভিযোগে দলিত কিশোরের পরিবারকে ৬০,০০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিধান দেয় গ্রামের পঞ্চায়েত। গ্রাম প্রধানের তরফে জানানো হয়েছে, কিশোরের স্পর্শে দেবতা অশুদ্ধ হয়ে গিয়েছে। নতুন করে রঙ করতে হবে। ১ অক্টোবরের মধ্যে ওই অর্থ দিতে না পারলে দলিত কিশোরের পরিবারকে পাথর ছুঁড়ে মারা। ঘটনাটি স্থানীয় প্রশাসনের নজরে আসে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওযার আশ্বাস দেওয়া হয়।