গান্ধী পরিবারের সামনে বিকল্প
রাজস্থানের রাজনৈতিক সংকটের অবসান ঘটাতে গান্ধী পরিবারের সামনে অন্যতম বিকল্প হল অশোক গেহলটকেই বলা, বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের সচিন পাইলটের সমর্থনের রাজি করাতে বলা। গেহলট কি তা করবেন, তা বলতে পারছেন না কেউই।
গান্ধী পরিবারের সামনে অন্যতম বিকল্প হল সিপি যোশীকে মুখ্যমন্ত্রী করে, দোস্তারাকে উপমুখ্যমন্ত্রী এবং সচিন পাইলটকে রাজ্য সভাপতি নির্বাচন করা। এক্ষেত্রে আবার সচিন পাইলটরা আপেক্ষ করতে পারেন।
কংগ্রেসের তরফে তৃতীয় বিকল্প হল অশোক গেহলটকে মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসিয়ে অন্য কাউকে নতুন করে রাজ্য সভাপতি করা হোক। এক্ষেত্রে কংগ্রেস যে কৌশল তৈরি করেছিল, তা আবার নতুন উপায়ে তৈরি করা হোক।
পাইলটকে সমর্থন করতে বিদ্রোহী বিধায়কদের ওপরে চাপ তৈরি করা। এই ধরনের পদক্ষেপে কংগ্রেসে ভাঙন দেখা দিতে পারে বলেও মনে করছএন অনেকে।
এছা়ড়া সর্বশেষ উপায় হল, সচিন পাইলটকে রাজস্থান থেকে সরিয়ে কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে আনা। তবে এই পদক্ষেপ আবার পাইলটের পছন্দ নাও হতে পারে।
গেহলটের সামনে বিকল্প
গেহলটের সামনে বিকল্প হিসেবে প্রথমেই আসছে নিজে দলের সভাপতি এবং সচিন পাইলটকে মুখ্যমন্ত্রী হতে সাহায্য করা। দ্বিতীয় বিকল্প হল গান্ধী পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সিপি যোশীকে মুখ্যমন্ত্রী এবং সচিন পাইলটকে রাজ্য সভাপতি হতে রাজি করানো।
পাইলটের সামনে বিকল্প
সচিন পাইলটের সামনে বিকল্প বলতে রয়েছে রাজস্থান কংগ্রেসের সভাপতি হওয়া। এছাড়়াও সিপি যোশীকে মুখ্যমন্ত্রী করতে সম্মত হওয়া। এছাড়াও তাঁর সামনে বিকল্প বলতে রয়েছে, কংগ্রেস ছেড়ে নিজে দল গঠন কিংবা অন্য দলে যোগ দেওয়া।
গেহলট না পাইলট, কার শক্তি বেশি
২০০ আসন বিশিষ্ট বিধানসভায়ট কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ১০৮। বর্তমান পরিস্থিতিতে অশোক গেহলটের অনুগামীরা তাঁদের সঙ্গে অন্তত ৮২ জন বিধায়কের সমর্থনের দাবি করেছেন। তবে সূত্রের খবর অনুযায়ী কংগ্রেসের বিধায়কদের মধ্যে অন্তত এক তৃতীয়াংশ গেহলটের সমর্থক। অন্যদিকে পাইলটের সমর্থক রয়েছেন প্রায় ১৮ থেকে ২০ জন। এছাড়া বাকিরা হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই কাজ করবেন। ফলে বর্তমান পরিস্থিতিতে কংগ্রেস হাইকমান্ড এখন কী সিদ্ধান্ত নেয় এখন সেটাই দেখার।