পুলিশ সূত্রের দাবি
মোহালি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সেনা কর্মীর সঙ্গে অভিযুক্ত ছাত্রীর সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ। সেখান থেকেই তাঁদের কথা শুরু হয়। সোশ্যাল মিডিয়াতেই তারা ফোন নম্বর আদানপ্রদান করেছিলেন। তবে ভিডিওগুলো অভিযুক্ত ছাত্রী সেনা কর্মীকে পাঠিয়েছিলেন কি না, তা জানা যায়নি। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, জিজ্ঞাসাাদের সময় অভিযুক্ত ছাত্রীকে বার বার কেউ মেসেজ করছিলেন। অভিযুক্ত ছাত্রী হোয়াটস অ্যাপ চ্যাট প্রকাশ করলে দেখা যায়, অভিযুক্ত ছাত্রী ওই সেনা কর্মীর সঙ্গে কথা বলছিলেন। বার বার সঞ্জীব সিং নামের ওই সেনা সদস্য ছাত্রীটিকে হস্টেলের বাকি মেয়েদের স্নানের ভিডিও পাঠানোর জন্য জোর করতে থাকেন। অভিযুক্ত ছাত্রী বলেন, এর জন্য তিনি বিব্রত কর পরিস্থিতির মধ্যে পড়ছেন।
অভিযুক্তের জামিনের আবেদন
চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের এমএমএস কাণ্ডে পুলিশ ইতিমধ্যে অভিযুক্তের ঘনিষ্ঠ বন্ধু সানি মেহেতা ও রঙ্কজ বর্মা নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধেও হস্টেলের মেয়েদের আপত্তিকর ভিডিও চাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। রঙ্কজ বর্মা ইতিমধ্যে আদালতে জামিনের আবেদন করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, অভিযুক্ত বা তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু সানি মেহেতাকে চেনেন না। তিনি নির্দোষ। পুলিশ অভিযুক্ত ছাত্রী ও তাঁর দুই বন্ধুর মোবাইল ও ল্যাপট ফরেন্সিক পরীক্ষায় পাঠিয়েছে। সেই রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি বলে জানা গিয়েছে।
উত্তাল চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়
১৮ সেপ্টেম্বর রাত থেকে ছাত্রীদের আপত্তিকর ভিডিও ফাঁস হওয়ার অভিযোগ ওঠার পর থেকেই পড়ুয়ারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পড়ুয়াদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। তারপরেই পুলিশের দ্বারস্থ হয়। রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ছাত্রীদের অশ্লীল ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার অভিযোগ ভুয়ো। একটি মাত্র ছাত্রীর আপত্তিকর ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ওই ভিডিওটি ছাত্রীটির ব্যক্তিগত ভিডিও। ভিডিওটি ছাত্রী সিমলায় ঘনিষ্ঠ এক বন্ধুকে পাঠিয়েছিল। সেখান থেকেই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়।