চণ্ডীগড় বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন
মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, শহিদ ভগৎ সিংকে সম্মান জানাতে চণ্ডীগড় বিমান বন্দরের নাম পরিবর্তন করা হবে। চণ্ডীগড় বিমানবন্দরের নাম ভগৎ সিংয়ের নামে করার প্রস্তাব আগেও এসেছে। বিজেপির বিধানসভা ২০১৬ সালের এপ্রিলে সর্বসম্মতিক্রমে এই প্রস্তাব পাস করা হয়েছিল। সেই সময় হরিয়ানা রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, কেন্দ্রীয় বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রকের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে।
রাজ্যসভায় বিরোধীদের উল্টো অভিযোগ
২০১৭ সালে লোকসভায় চণ্ডীগড় বিমানবন্দরের নাম ভগৎ সিংয়ের নামে করার প্রস্তাবে ব্যাপক হট্টোগোল হয়। সেই সময় বিরোধীরা অভিযোগ করেছিল যে হরিয়ানার বিজেপি সরকার স্বাধীনতা সংগ্রামী ভগৎ সিংয়ের নামে নাম রাখতে চায় না। তৎকালীন সিপিএম বিধায়ক ঋতব্রত ব্যানার্জি তখন বলেছিলেন চণ্ডীগড় বিমানবন্দরের নামকরণ নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। জানা যায় পঞ্জাব সরকার চণ্ডীগড় বিমানবন্দরের নাম শহিদ-ই-আজম ভগত সিংয়ের নামে রাখার প্রস্তাবে সম্মত হয়েছিল। কিন্তু হরিয়ানার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী না বলেছিলেন। তাঁরা বিমানবন্দরের নাম মঙ্গল সেনের নামে রাখতে চেয়েছিলেন। কংগ্রেস অভিযোগ করেছিল, হরিয়ানা সরকার প্রাক্তন বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী মঙ্গল সেনের নামে বিমানবন্দরের নাম রাখতে চেয়েছিল। যদিও বিজেপি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছিল।
পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর ভগৎ সিংকে শ্রদ্ধা
পঞ্জাবে আপ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান তাঁর শপথ নেওয়ার অনুষ্ঠানে ভগৎ সিংয়ের প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অনাড়ম্বর এবং স্বাধীনতা সংগ্রামীর প্রতি প্রতীকী শ্রদ্ধা জানিয়ে তার মেয়াদ শুরু করেছিলেন। ভগবন্ত মান-এর শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল ভগৎ সিং-এর পৈতৃক গ্রাম খটকার কালানে। সেখানে হলুদ রঙকে গুরুত্ব দিয়ে শপথ অনুষ্ঠানের মঞ্চ সাজানো হয়েছিল।
ভগবন্ত মানের হলুদ পাগড়ি
ভগবন্ত মান হলুদ রঙের পাগড়ি পরে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এই হলুদ রঙের জেরে তিনি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের ব্যঙ্গের কারণ হয়েছিলেন। তবে এই হলুদ রঙ খটকার কালান গ্রামকে পরিপূর্ণতা দিয়েছিল। আপ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই ভগবন্ত মান শহিদ ভগৎ সিংয়ের ২৩ মার্চ ফাঁসির দিনকে ছুটি ঘোষণা করেন। ভগবন্ত মান দাবি করেছিলেন, ভগৎ সিং হলুদ রঙের পাগড়ি পরতেন। বিপ্লবের প্রতীক হিসেবে তিনি হলুদ রঙের পাগড়ি পরা শুরু করেন।