মহালয়ার সকাল থেকে গঙ্গার ঘাটে ঘাটে চলছে তর্পন। রবিবার তর্পনে গিয়ে চমক দিলেন পািনহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। বরাবরই িনজের কিছু না কিছু কর্মকাণ্ডে চমক তৈরি করেন বিধায়ক। রবিবার মহালয়ার তর্পণে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষের ছবিতে মালা পড়ালেন তিনি। তর্পনে সাধারত পিতৃ পুরুষকে জল দান করার রীতি রয়েছে। হঠাৎ করে শুভেন্দু-দিলীপের ছবিতে মালা দিয়ে কী বোঝাতে চেয়েছেন বিধায়ক। তার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন তিনি নিজেই।
মহালয়ার তর্পনেও রাজনীতির চমক। সাতসকালে বাবুঘাটে তর্পনে গিয়েছিলেন পানিহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। সাধারণত পিতৃ পুরুষকে জলদান করতেই তর্পণ করা হয় মহালয়ার দিনে। কিন্তু পাণিহাটির বিধায়ক মদন মিত্র তর্পণ করলেন বিজেপির উদ্দেশ্যে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে যাতে তাড়াতাড়ি বিজেপি বিদায় নেয় সেই প্রার্থনা জানিয়েই তর্পণ করেছেন তিনি।
বাবুঘাটে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের ছবি রেখে। তাতে মালা দিয়ে তর্পণ করেন মদন মিত্র। তবে ব্যক্তিগত জীবনে তাঁরা সুস্থ থাকুক সেই কামনা করেছেন মদ মিত্র। তিিন বলেছেন,'ওঁরা বেঁচে থাকুক। সপরিবারে সুস্থ থাকুক। কিন্তু বিজেপির রাজনৈতিকভাবে যে অপমৃত্যু ঘটবে, তার তর্পণ করার জন্য লোক পাওয়া যাবে না। তাই আমি আগাম সেই তর্পণ করে গেলাম।' তিনি আরও বলেছেন, 'তাঁরা তাঁদের পরিবারের সঙ্গে সুস্থ থাকুন, দীর্ঘায়ু হন। বিজেপির রাজনৈতিক অপমৃত্যু ঘটতে চলেছে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে।'
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে মদন মিত্রের সম্পর্ক যে খুব একটা ভাল নয় সেটা প্রকাশ্যে এসেছিল শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর। শুভেন্দু সরে যেতেই সক্রিয় হয়ে ওঠেন মদন মিত্র। তারপরেই বিধানসভার টিকিট প্রাপ্তি এবং পানিহািটর বিধায়ক পদ লাভ। একুশের ভোটের আগে শুভেন্দুকে নিশানা করে একের পর এত বিস্ফোরক মন্তব্য করতে শোনা গিেয়ছে মদন মিত্রকে।
কয়েকদিন আগে বিজেপির নবান্ন অভিযান িনয়েও বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন তিনি। বিজেপির নবান্ন অভিযানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেছিলেন একটা বোমা মারলেই সব ফাঁকা হয়ে যেত। এক প্রকার বোমা মারার হুমকি দিয়েছিলেন মদন মিত্র। সেই িনয়ে বিতর্ক অনেক দূর গড়িয়েছিল।