|
দল বিধায়কদের কথা শুনছে না
এদিন জয়পুরে কংগ্রেস বিধায়ক প্রতাপ সিং খাচারিয়াওয়াস বলেছেন, ১০-১৫ জন বিধায়কের কথা শোনা হচ্ছে। আর অন্য বিধাযকদের অবহেলা করা হচ্ছে। তাঁরা ারও অভিযোগ দল তাদের কথা শোনে না। তাঁদেরকে ছাড়াই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। প্রতাপ সিং খাচারিয়াওয়াস বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী গেহলটের উচিত বিধায়কদের সঙ্গে পরামর্শ করা। তাঁদের সঙ্গে ৯২ জন বিধায়ক বলেছেন বলেও দাবি করেছেন ওই নেতা।
|
অধ্যক্ষের কাছে কংগ্রেস বিধায়করা
এদিন রাতে কংগ্রেস বিধায়করা বিধানসভার অধ্যক্ষের বাড়িতে পৌঁছে যান। তার আগে কংগ্রেস বিধায়ক প্রতাপ সিং খাচারিয়াওয়াস বলেন, সব বিঘায়ক ক্ষুব্ধ এবং তাঁরা পদত্যাগ করতে চলেছেন। সেই জন্য তাঁরা অধ্যক্ষের কাছেও যাচ্ছেন বলে জানান। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট কীভাবে বিধায়কদের সঙ্গে পরামর্শ না করে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন প্রতাপ সিং খাচারিয়াওয়াস।
২০০ আসনের রাজস্থান বিধানসভায় কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ১০০ জন। এরসঙ্গে ছয়জন বিধায়ক মায়াবতীর দল থেকে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। অন্যদিকে নির্দল ১৩ বিধায়কের মধ্যে ১২ জন গেহলটের সঙ্গেই রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
গেহলটপন্থী বিধায়ক দাবি
গেহলটপন্থী ৫৬ জন বিধায়ক বলেন, তাঁরা সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ২০২০ সালে যে ১০২ জন বিধায়ক সরকারকে সমর্থন করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে থেকে মুখ্যমন্ত্রী বেছে নিতে হবে। কোনওভাবেই তাঁরাী পাইলট এবং তাঁর ১৮ অনুগতদের মধ্যে থেকে কাউকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মেনে নেবেন না। প্রসঙ্গত ২০২০ সালে ১৮ জন বিধায়কক নিয়ে একমাসের বেশি সময় ধরে পাইলট দিল্লিতে দরবার করে গিয়েছেন। পরে প্রিয়ঙ্কা ও রাহুলের হস্তক্ষেপে সেই সময়ের মতো সমস্যার সমাধান হয়।
কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠক
সন্ধেয় কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অশোক গেহলটের অংশ নেওয়াক কথা ছিল। সেই বৈঠকে মল্লিকার্জুন খারগে, রাজস্থান কংগ্রেসের ইনচার্জ অজয় মাকেনের উপস্থিত থাকার কথা ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত আর এই সভা হয়নি। সূত্রের খবর অনুযায়ী দলের অন্তবর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করবেন। গেহলট কংগ্রেসের সভাপতি হতে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে অসম্মত ছিলেন। কিন্তু এক ব্যক্তি এক পদের প্রস্তাবে রাহুল গান্ধীর সমর্থনের পরে তাঁর হাত-পা ছিল বাঁধা। এদিন গেহলট বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস বিধায়কদের বলেছেন, কিছুর তার হাতে নেই।