কংগ্রেস সভাপতি পদের নির্বাচনে আনুষ্ঠানিকভাবে লড়াইয়ে শামিল হলেন শশী থারুর। তিনি অবশেষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেন। এবং কংগ্রেস সভাপতির নির্বাচনে তাঁর দাবিও একইসঙ্গে জোরালো করলেন। শশী থারুরই প্রথম কংগ্রেস নেতা যিনি আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেস সভাপতি পদে প্রার্থী হলেন।
শশী থারুর আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য তার মনোনয়ন পত্র দাখিল করতে পারেন। এটি হবে দুই দশকের মধ্যে প্রথম কোনও কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন, যেখানে গান্ধী পরিবারের কেউ শীর্ষপদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা শশী থারুর শনিবার নয়াদিল্লিতে কংগরেস সদর দফতর থেকে সভাপতি পদের জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
এখন দেখার শশী থারুরের সঙ্গে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে আর কে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শামিল হন। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের সঙ্গে শীর্ষ পদ প্রাপ্তির নির্বাচনে মুখোমুখ হওয়ার সম্ভাবনা সিংহভাগ। অশোক গেহলট যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন, তা একপ্রকার নিশ্চিত। তবে তিনি এখনও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেননি।
৩০ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন প্রক্রিয়ার শেষ দিন ওইদিনই থারুর দাখিল করতে পারেন। একজন প্রার্থীকে সমর্থন করার জন্য প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির মোট ১০ জন প্রতিনিধি প্রয়োজন। সারা দেশে থেকে মনোনয়ন সমর্থনকারী স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হবে শশী থারুরের পক্ষে।
সোমবার থারুর সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন এবং নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, কংগ্রেস সভাপতি জানিয়েছিলেন তিনি নির্বাচন নিরপেক্ষ থাকবেন। সোনিয়া গান্ধী আরও বেশি লোকের ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ধারণাকে স্বাগত জানিয়েছিলেন এবং একইসঙ্গে তিনি উড়িয়ে দিয়েছিলেন তাঁর প্রার্থী হওয়ার ধারণাটি।
দুই দশক পর গান্ধী পরিবারের কোনও প্রার্থী কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে না। কংগ্রেসের জি-২৩ গোষ্ঠী বিশিষ্ট নেতা শশী থারুর রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারেন। দলের একাধিক নেতা রাহুল গান্ধীকে আবার সভাপতি করতে চাইছিলেন। কিন্তু রাহুল গান্ধী কোনও মতেই রাজি হননি।
২০১৯ সালের নির্বাচনের পর রাহুল গান্ধী সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। সমস্ত অনুরোধ উপেক্ষা করে তিনি এখন দলের ভারত জোড়ো যাত্রায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন। দুই দশকের মধ্যে এটিই হবে প্রথম কোনও কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন যেখানে শীর্ষ পদের লড়াই হবে গান্ধী পরিবারকে বাদ দিয়ে। ভোটগ্রহণ করা হবে ১৭ অক্টোবর। আর ভোট গণনা ও নির্বাচনী ফলপ্রকাশ করা হবে ১৯ অক্টোবর। ৯ হাজারেরও বেশি প্রতিনিধি ভোট দেবেন এই নির্বাচনে। ২০০০ সালে জিতেন্দ্র প্রসাদ সোনিয়া গান্ধীর কাছে হেরেছিলেন। আর তার আগে ১৯৯৭ সালে সীতারাম কেশরী হারিয়েছিলেন শারদ পাওয়ার ও রাজেশ পাইলটকে।