ভ্যাকসিন
এর পরে, বিজ্ঞানীরা সর্বজনীন ভ্যাকসিনের জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন যা প্রাণীজগতে পাওয়া ভাইরাসগুলির বিরুদ্ধে তৈরি করা উচিত। ওয়াশিংটনের একজন ভাইরোলজিস্টকে বলেছেন, "আমাদের গবেষণা আরও দেখায় যে এশিয়ার বাইরে বন্যপ্রাণীতে সার্বেকোভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে, এমনকি পশ্চিম রাশিয়ার মতো জায়গায় যেখানে খোস্তা-২ ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে, তাও বিশ্ব স্বাস্থ্যের জন্য একটা খারাপ কিছুর বার্তা দিচ্ছে এবং সার্স-কোভি-২-এর বিরুদ্ধে যে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে তা নিয়েও বাড়তে পারে চিন্তা"
ভাইরাস বিশেষজ্ঞ
ভাইরাসটি বিশেষজ্ঞ যোগ করেছেন, "জেনেটিকালি, এই অদ্ভুত রাশিয়ান ভাইরাসগুলি দেখতে অন্য কিছুর মতো ছিল যা সারা বিশ্বের অন্য কোথাও আবিষ্কৃত হয়েছিল, কিন্তু যেহেতু তারা 'SARS-CoV-2' এর মতো নয়, কেউ ভাবেনি যে তারা সত্যিই উত্তেজিত হওয়ার মতো কিছু ছিল," ।
রাশিয়ান বাদুড়ের মধ্যে খোস্তা-১
২০২০ সালে রাশিয়ান বাদুড়ের মধ্যে খোস্তা-১ এবং খোস্তা-২ ভাইরাস আবিষ্কৃত হয়েছিল। তবে প্রাথমিক পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে তারা মানবদেহের জন্য হুমকি নয়। পরে, পরীক্ষাগুলি দেখায় যে খোস্তা-২ বর্তমান কোভিড ভ্যাকসিনের সিরাম এবং প্রভাব দ্বারা নিরপেক্ষ করা যায়নি।
অ্যান্টিবডি
ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটির পল জি অ্যালেন স্কুলের একটি দল দেখেছে যে খোস্তা-২ সার্স-কোভি-২ এর বিরুদ্ধে মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি এবং বিদ্যমান ভ্যাকসিনগুলির থেকে অনাক্রম্য থাকার সময় মানব কোষকে সংক্রামিত করতে প্রোটিনকে স্পাইক করতে পারে। এছাড়াও, ওমিক্রন স্ট্রেনে আক্রান্ত একজন ব্যক্তির অ্যান্টিবডিগুলি ভাইরাসটিকে নিরপেক্ষ করতে পারেনি।
এদিকে প্রত্যেকদিন বাড়ছে সংক্রমণের সংখ্যা। তথ্য অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত ৭০১ জন। যার মধ্যে ২৪ ঘন্টাতে শুধু কলকাতাতেই ২০০ এরও বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন বলে রিপোর্টে জানা যাচ্ছে।অন্যদিকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে বলেও খবর। পাশাপাশি মোট ১৬ জনের ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলেও স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্টে উঠে এসেছে বলে জানা যাচ্ছে। যা রীতিমত ভয় ধরাচ্ছে বলেও মনে করছে চিকিৎসকদের একাংশকে। আর এই আশঙ্কার মধ্যে আজ বুধবার আরও একজনের ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বাঁশদ্রোণীর নিউ গভর্মেন্ট কলোনির এক বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। গত কয়েকদিন আগে জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ওই রোগী। এরপর ডেঙ্গু ধরা পড়ে। কিন্তু ক্রমশ প্লেটলেট নামতে শুরু করে। শেষমেশ আলিপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ওই রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।