পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করলেন রাষ্ট্রসংঘে ভারতীয় সচিব মিজিতো ভিনিতো। কাশ্মীর ইস্যুতে পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ মিথ্যা কথা বলেছেন বলে তিনি দাবি করেছেন। পাশাপাশি তিনি ভিযোগ করেছেন, ইসলামাবাদ সরাসরি সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত।
ভারতীয় প্রতিনিধি মিজিতো ভিনিতো বলে, এটা খুব দুঃখজনক যে পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে এসেছে। এবং তার জন্য পাকিস্তান অগাস্ট সমাবেশের প্ল্যাটফর্ম বেছে নিয়েছে। নিজেদের দেশের একের পর এক অপকর্ম চাপা দিতেই পাক সরকার ভারতের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে আসছে। তবে পাক প্রধানমন্ত্রীর ভারত বিরোধী অভিযোগ বিশ্ব গ্রহণ করতে না বলে তিনি মনে করেন।
ভিনিতো পাকিস্তানের সন্ত্রাসে মদত দেওয়া প্রসঙ্গে দাউদ ইব্রাহিমের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। ভিনিতো বলে, পাকিস্তান যদি শাস্তি চাইতো, তাহলে মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ডকে আশ্রয় দিত না। যে দেশ শান্ত চায়, সেই দেশ কখনও সন্ত্রাস হামলায় সাহায্য করে না। প্রতিবেশীদের সঙ্গে শান্তি চাইলে বার বার ভারতে হামলার পরিকল্পনাকারীদের সাহায্য করত না। তাদে সাহায্য করত না। দৃঢ়ভাবে ভারতের অবস্থান জানিয়ছে ভিনিতো। তিনি জানান, সন্ত্রাস, শত্রুতা ও হিংসামুক্ত পরিবেশে পাকিস্তানের সাথে স্বাভাবিক প্রতিবেশী সম্পর্ক চায় ভারত। তবে বার বার যে ভারত দাবি করেছে, জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ, তা বজায় থাকবে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
ভিনিতো বলেন, পাকিস্তানে হিন্দু, শিখ এবং খ্রিস্টান পরিবারের মেয়েদের জোর করে অপহরণ এবং বিবাহের সাম্প্রতিক ঘটনাগুলি প্রমাণ করে তারা সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ।আর তারাই রাষ্ট্রংঘের মঞ্চে সংখ্যালঘুদের হয়ে কথা বলছেন। তিনি মন্তব্য করেছেন, শান্তি, নিরাপত্তা এবং অগ্রগতির দিকে ভারত এগিয়ে যেতে চাইছে। ভারতের এই পথের প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সন্ত্রাস।সীমান্তে সন্ত্রাস বন্ধ না করলে দুই দেশের অশান্তির পথে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শুক্রবার, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে ইসলামাবাদ ভারত সহ তার সমস্ত প্রতিবেশীর সাথে শান্তি চায়, এটি কাশ্মীর বিরোধের ন্যায্য এবং স্থায়ী সমাধানের পরেই সম্ভব। শরিফ অভিযোগ করেন, জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা পরিবর্তনের জন্য ভারত "অবৈধ এবং একতরফা" পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এরফলে কাশ্মীরে উত্তেজনা বাড়ছে। তিনি বলেন, ভারতের এখন সময় এসেছে, পরিস্থিতিটা বোঝার সময় এসেছে। তিনি বলেন, শুধুমাত্র শান্তিপূর্ণ আলোচনাই এই সমস্যাগুলির সমাধান করতে।