|
টিম হাডলের আবেগ
টিম হাডলে দেখা গেল কখনও ঝুলনের চোখের কোণটা চিকচিক করে উঠেছে। কখনও বা চেনা হাসিমুখ। অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর দাঁড়িয়ে ছিলেন ঝুলনের পাশেই। আবেগ সামলাতে না পেরে তাঁকে জড়িয়েও ধরলেন। তবে মহিলাদের ক্রিকেটে সর্বাধিক উইকেটশিকারী ঝুলন কিন্তু আবেগে ভাসতে নারাজ। ম্যাচ শুরুর আগে তিনি বিসিসিআইয়ের পাশাপাশি ধন্যবাদ জানান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলকে। অবসরের আগে তাঁকে সম্মানিতও করা হয়েছে। ঝুলন যাকে বিশেষ মুহূর্ত হিসেবেও চিহ্নিত করলেন। তিনি বলেন, ক্রিকেট মাঠে আমি কখনও আবেগ সঙ্গী করে নামি না। আমি মাঠে নির্মম মানসিকতা নিয়েই খেলি। হার্ড ক্রিকেট খেলাই লক্ষ্য থাকে, সেরাটাই দিতে চাই।
|
ঝুলনের শেষ ম্যাচ
তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটেই ঝুলনের অভিষেক ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। শেষটাও করছেন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেই। তাও আবার ক্রিকেটের মক্কা লর্ডসে। যেখানে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের টেস্ট অভিষেক হয়েছিল, সেখানেই ঝুলনের বিদায়ী ম্যাচ। টসের সময় সাধারণত ম্যাচ রেফারি এবং দুই দলের অধিনায়ক থাকেন, সঞ্চালকের সঙ্গে। এদিন শেষ ম্যাচে প্রথা ভেঙে ঝুলনকে নিয়ে গেলেন হরমনপ্রীত। ঝুলনই কল করলেন। এদিন ঝুলন বলেন, ২০০২ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শুরু করেছিলাম। ইংল্যান্ডেই কেরিয়ার শেষ হচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা আমরা সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছি। ঝুলনের স্মৃতিপটে ভেসে উঠছে নানা স্মৃতি। তিনি বলেন, ২০১৭ সালে কেউই ভাবেননি আমরা ফাইনালে উঠতে পারব। যেভাবে আমরা খেলেছিলাম তার ধরন ছিল একেবারেই আলাদা। তখন থেকেই ভারতে মহিলাদের ক্রিকেটের গ্রাফ উপরের দিকে যেতে থাকে। এখন ভারতের মহিলা ক্রিকেট যেখানে পৌঁছেছে তাতে মেয়েদের এখন মোটিভেট করে বলা যায় ক্রিকেট খেলেও কেরিয়ার গড়া সম্ভব।
|
আবেগ সরিয়ে মাঠে
সতীর্থদের প্রশংসাও শোনা গিয়েছে ঝুলনের গলায়। তিনি বলেন, হরমন (হরমনপ্রীত কৌর), স্মৃতি (স্মৃতি মান্ধানা)-সহ অনেক সতীর্থই আমাকে কাছ থেকে দেখেছেন। আমার কেরিয়ারের চড়াই-উতরাইয়ের সাক্ষী। ভালো সময় হোক বা খারাপ সময়, আমরা একসঙ্গে থেকেই সেই পরিস্থিতির মোকাবিলা করেছি। একদিক দিয়ে ভালো হলো, যা আবেগঘন পরিস্থিতি তৈরি হলো তা ম্যাচের আগে। ম্যাচে আমরা ফ্রেশ হয়েই নামতে পারব। হরমন, স্মৃতি যেভাবে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তাতে আমি খুশি। হরমন অসাধারণ ব্য়াটিং করছেন। তিনি অনেকের চেয়েই আলাদা, নিজের দিনে তাঁকে আউট করা কঠিন। অনেক সময় আমিও অনেক চেষ্টা করে হরমনকে আউট করতে পারিনি। যস্তিকা, হারলিনের মতো ক্রিকেটাররা আসছেন, এটাই ইতিবাচক দিক, আমি খুশি। আশা করি এঁরাই আগামী দিনে আরও সাফল্য এনে দিতে পারবেন।
|
হোয়াইটওয়াশ হবে?
কলকাতার মাল্টিপ্লেক্সে ঝুলনের শেষ ম্যাচ দেখানোর ব্যবস্থা করেছে সিএবি। সিএবি কর্তাদের পাশাপাশি প্রাক্তন ও বর্তমান ক্রিকেটাররাও সেখানে হাজির হবেন। ইংল্যান্ড টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছে। তবে ভারতের শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি। শেফালি ভার্মা ৫ বলে ও যস্তিকা ভাটিয়া ২ বলে শূন্য রান করে আউট হয়েছেন। ১.৫ ওভারে শেফালিকে ফেরান কেট ক্রস। ভারতের প্রথম উইকেট পড়ে ২ রানে। নিজের পরের ওভারটি করতে এসে প্রথম বলেই ভাটিয়াকে ফেরান ক্রস। ৩.১ ওভারে ২ উইেটে ১০ রান, এই পরিস্থিতি থেকে জুটি বেঁধেছেন স্মৃতি ও হরমনপ্রীত।