মেক্সিকোর বক্তব্য
রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে মেক্সিরো বিদেশমন্ত্রী মার্সেলো লুইস এব্রার্ড কাসাউবন বলেন, মেক্সিকো বিশ্বাস করে বিশ্বে শান্তির পরিবেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, পোপ ফ্রান্সিস এবং রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ফেরাতে পারবেন। তিনি বলেন,এই বিষয়ে, আমরা ইউক্রেনের শান্তির জন্য একটি কমিটি গঠনের পরিকল্পনা নিয়েছি। সেখানে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মধ্যস্থতা প্রচেষ্টাকে শক্তিশালী করার জন্য মেক্সিকোর রাষ্ট্রপতি আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডোরের প্রস্তাবটি আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই।
ইউক্রেনে শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে
নরেন্দ্র মোদী এবং মহামান্য পোপ ফ্রান্সিস সহ অন্যান্য রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের অংশগ্রহণ করলে এই কমিটি আরও শক্তিশালী হবে বলে আমি মনে করছি। তিনি জানিয়েছেন, রাষ্ট্রসংঘের অনুমতি নিয়েই ইউক্রেনের শান্তি স্থাপনের চেষ্টা করা হবে। ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যে উত্তেজনা চলতে তার সমাধান বৈঠকের মাধ্যমে সম্ভব বলে তিনি মনে করছেন। তিনি মন্তব্য করেছেন, এই বিষয়ে ঔদাসিন্য কখনই গ্রহণযোগ্য নয়। ইউক্রেনে শান্তি ফেরানো আমাদের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত।
নরেন্দ্র মোদীকে সমর্থন
উজবেকিস্তানের সমরকন্দে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে তিনি পুতিনকে উল্লেখ করে বলেন, আজকের যুগ যুদ্ধের নয়। মোদীর এই মন্তব্যকে আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স সহ পশ্চিমি দেশগুলো সমর্থন করে।
রাশিয়ার অবস্থান
ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনের ওপর সামরিক অভিযান করে। বর্তমানে ইউক্রেনের কয়েটি অঞ্চল দখল করে নিয়েছে। ইউক্রেনের সামরিক অভিযানে রাশিয়া তাদের দেশের যুবকদের সামরিক অভিযানে অংশ নেওয়ার বিষয়ে আহ্বান জানান। এর পরেই রাশিয়ায় তীব্র বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে। কঠোর আইন অমান্য করে দেশের মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। তাঁরা দাবি জানিয়েছেন, এই যুদ্ধকে তাঁরা সমর্থন করেন না। তাহলে সামরিক অভিযানে অংশগ্রহণ করবেন না। অন্যদিকে, পুতিন পরমাণু হামলার ইঙ্গিত দিয়েছে। এরপরেই নতুন করে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক উত্তেজনা শুরু হয়েছে।