কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙেনি বলে আক্রমণ
আজ বঙ্গ সফরে এসেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। আর বাংলাতে পা রেখেই দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দিতে আসেন তিনি। আর সেখানেই সংবাদমাধ্যমের কাছে বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী। বলেন, কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থাতে। তাতেও রাজ্যের কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙেনি বলে আক্রমণ ধর্মেন্দ্র প্রধানের। শুধু তাই নয়, নিয়োগ মামলাতে একের পর এক নেতামন্ত্রী জেলে। চাকরি প্রার্থীরা কবে ন্যায় পাবেন? প্রশ্ন কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর। এমনকি গত অগাস্টেই মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যবস্থা নিতে বলে চিঠি দেওয়া হলেও উত্তর দেওয়ারও সরকার প্রয়োজন মনে করেনি বলে আক্রমণ মন্ত্রীর।
সবদিকে নজর রয়েছে সরকারের
আর এহেন দাবি ঘিরেই শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা। পালটা কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে শাসক তৃণমূলের। পালটা দাবি, দিনের পর দিন বকেয়া বাড়ছে রাজ্যের। সে বিষয়ে কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর নজর নেই। অবিলম্বে বকেয়া মেটানোর দাবি নেতৃত্বের। এই প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, সবদিকে নজর রয়েছে সরকার। সব রকম ভাবে চেষ্টা করছে। যে সমস্ত জায়গাতে ভুল রয়েছে শুধরে নেওয়ার চেষ্টা চলছে বলেও দাবি তৃণমূল নেতার। বলে রাখা প্রয়োজন, আজ শুক্রবার কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর একাধিক সাংগঠনিক বৈঠক রয়েছে। আর বাংলায় এসে দুর্নীতি ইস্যুতেই সুর চড়ালেন মন্ত্রী।
সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন সভাপতি
অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি বিক্রম নাথের ডিভিশন বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হতে পারে। আর তা হতে পারে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর। কলকাতা হাইকোর্ট প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি পদ সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় সিঙ্গল বেঞ্চ। চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন তৃণমূল বিধায়ক। কার্যত সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ বহাল থাকে। দুই বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টে মানিক ভট্টাচার্য। স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যে তাঁর নাম জড়িয়েছে। সিবিআই তো বটে, কয়েক দফায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটও জেরা করেছে বিধায়ককে। সেখানে দাঁড়িয়ে এই পদক্ষেপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।