পঞ্চায়েতে জয়ের মন্ত্র শেখালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের কর্মিসভায় তিনি বার্তা দিলেন, তিনি ভোটে কোনও অশান্তি চান না। চান শুধু সুষ্ঠু ভোট। তিনি সেই বার্তা দিয়েছেন নেতা-কর্মীদের। বলেছেন পাঁচ বা ১০টা ভোট কম পেলে কিছু যায় আসবে না। ঠিকমতো কাজ করলেই জয় আসবে হাসতে হাসতে।
অভিষেক পঞ্চায়েতের বুথস্তরীয় সমাবেশে বার্তা দিয়েছেন, আমাদের সরকার মানুষের সরকার। জনস্বার্থে কাজ করে চলেছে। এখন যদি জনপ্রতিনিধিরা মানুষের কাজ ঠিকমতো করে যায়, তবে তাঁদের জয় পেতে কোনও অসুবিধা হবে না। তাই দু-চারটে ভোটের জন্য অশান্তির পথে হাঁটার কোনও প্রয়োজনই নেই। শুধু কাজ করে যান, তাতেই জয় আসবে সহজেই।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে বার্তা দিয়ে চলেছেন সমস্ত জেলার বৈঠকে, সেই একই বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও দিয়েছেন। বুঝিয়ে দিয়েছেন উন্নয়নই হল মূল চাবিকাঠি। শুধু কাজ করুন আর জনসংযোগ করে যান। মানুষের সঙ্গে থাকতে হবে, তাহলে মানুষ আপনাকে নিরাশ করবে না। একের পর এক নির্বাচনে একতরফা জয় হাসিল করলেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে বারে বারে উঠছে ভোট-সন্ত্রাসের অভিযোগ। এবার সেই অভিযোগ থেকে মুক্ত হতে চাইছে তৃণমূল।
একুশরে বিধানসভা নির্বাচনের পর পুর-নির্বাচনেও বিরাট জয় হাসিল করেছে তৃণমূল। বিরোধীরা আক্ষরিক অর্থেই ধরাশায়ী হয়েছে। বিরোধীরা লড়াই দিতে না পারলেও নির্বাচনের আগে বা পরে গায়ের জোর খাটানো বা ভোট সন্ত্রাসের অভিযোগ ওটা বন্ধ হয়নি। তা নিয়ে এখন মামলার মুখোমুখিও হতে হয়েছে। তাই এবার গায়ের জোর খাটানো থেকে বিরত থাকতে কড়া নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কৌশল নিয়েছে, বিরোধীরা যেখানে ইচ্ছা প্রার্থী দিক, তাদের যেন কোনও বাধার মুখে পড়তে না হয়। কোনওরকম জোরজুলুম করা চলবে না। জেলায় জেলায় দলের নেতৃত্বকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
একে একে উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেন অভিষেক। তারপর দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির সঙ্গেও তিনি বৈঠক করতে শুরু করেছেন। এদিন ক্যামাক স্ট্রিটে হুগলি জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে তিনি এই বার্তা দিয়েছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন থেকে সাংগঠনিক প্রস্তুতি শুরু করে দিতে বলেছেন তিনি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলকে না জানিয়ে কোনও বিধায়ক এলাকা ছাড়তে পারবেন না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।