নবান্ন অভিযানের রেশ শেষ। ফের নতুন করে কর্মসূচি তৈরি করছে বিজেপি। দুদিনের রাজ্য কমিটির বৈঠকে বিজেপি সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুজোর বাংলায় জনসংযোগ কর্মসূচি করার। সম্প্রতি বিজেপি দুদিনের রাজ্য কমিটির বৈঠক করে। সেই বৈঠকে সদ্য দায়িত্ব নেওয়া পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে আলাপ পরিচয় হয়। সেইসঙ্গে আগামী কর্মসূচিও নির্ধারিত করা হয়।
বিজেপি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, নবান্ন অভিযান থেকে যে অক্সিজেন পাওয়া গিয়েছে, তা ধরে রাখতে হবে। সেইজন্য পুজোর সময় অর্থার দেবীপক্ষে জনসংযোগ কর্মসূচি নিচ্ছে তারা। আর এই কর্মসূচির মুখ করা হচ্ছে মিঠুন চক্রবর্তীকে। বিজেপি একাধিক প্রাকপুজো কর্মসূচি পালন করবে। মহালয়া থেকে দুর্গাষষ্ঠী পর্যন্ত জনসংযোগ কর্মসূচিতে বিজেপি চাইছে বাঙালি আবেগকে কাজে লাগাতে।
সেই কারণেই বাংলার অন্যতম মুখ মিঠুন চক্রবর্তীকে সামনে রেখে তাঁরা নিবিড় জনসংযোগে নামবেন। রাজনৈতিক আন্দোলন কর্মসূচি পুজোর মরশুমে বন্ধ রেখে জনসংযোগ কর্মসূচি তাঁরা চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। বিজেপির নবনির্বাচিত পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্য কমিটির বৈঠক থেকে। কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষদের তরফে এমনই নির্দশিকা জারি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে নির্দেশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রাক পুজোয় বিশেষ জনসংযোগ কর্মসূচির পরিকল্পনা করেছে বঙ্গ বিজেপি। মিঠুন চক্রবর্তীকে মধ্যমণি করে তাঁরা এগোতে চাইছে। মিঠুন চক্রবর্তী এই কর্মসূচির মুখ হতে রাজিও হয়েছেন বলে বিজেপি সূত্রে খবর। তবে এই জনসংযোগ কর্মসূচির দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি। মিঠন চক্রবর্তীর সময় দেওয়ার উপর নির্ভর করেই এই কর্মসূচি নেওয়া হবে। তবে দলের তরফে সমস্ত তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। শুধু চূড়ান্ত দিনক্ষণ প্রকাশের অপেক্ষা।
মিঠুন চক্রবর্তীকে মুখ করে শুধু দক্ষিণবঙ্গেই নয়. উত্তরবঙ্গেও কর্মসূচি নিতে পারে বিজেপি। গত বিধানসভা নির্বাচনে মিঠুন চক্রবর্তী দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন। তারপর তাঁকে কিছুদিন সক্রিয় দেখা যায়নি। মাঝে একবার বিজেপির রাজ্য দফতরে এসে দলের নির্দেশে কাজ করার বার্তা দিয়ে গিয়েছিলেন।
সেইমতো এবার দলীয় নির্দেশ পেয়ে তিনি জনসংযোগ করতে আসছেন। বিজেপিও মিঠুন চক্রবর্তীর ভাবমূর্তি কাজে লাগাতে চাইছে। প্রাক পুজোয় মিঠুন চক্রবর্তীকে বাংলায় ঘুরিয়ে জনসংযোগে ঝড় তুলতে চাইছে। উৎসবের মরশুমে বাঙালি ও বাংলার আবেগকে কাজে লাগানোই বিজেপির মুখ্য উদ্দেশ্য। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিজেপি এভাবেই তাঁদের জনসংযোগের ধারা বজায় রাখতে চাইছে।