কী বললেন বিজেপি নেতা
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দেখান বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তিনি মন্তব্য করেন, বিজেপির সম্পর্কে বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈধতার প্রয়োজন নেই। বিচার চলছে। অনেকদিন ধরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের সদস্যরা তদন্তকারী আধিকারিকদের নজরে রয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলো কিন্তু আদালতের নির্দেশেই তদন্ত করছেন। অমিত মালব্য জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর পরিবারকে লুঠের হিসেব দিতে হবে।
মোদীর প্রশংসায় মুখ্যমন্ত্রী
সোমবার বাংলার বিধানসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা শুনতে পাওয়া যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। ইডির তৎপরতার নিন্দা প্রস্তাব পেশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আমি বিশ্বাস করি না, নরেন্দ্র মোদী এটা করেছেন। এগুলো বিজেপি নেতারা করেছেন।' ঘটনায় তিনি কাঠগোড়ায় বিজেপির শীর্ষ নেতা অমিত শাহ, জেপি নাড্ডাদের তুলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী নিজের বক্তব্যের কারণ হিসেবে বলেছেন, 'সিবিআই আগে প্রধানমন্ত্রীর অধীনে ছিল। এখন তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর অধীনে রয়েছে। তাই সিবিআইয়ের অযাচিত তৎপরতায় প্রধানমন্ত্রী নয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ইন্ধন রয়েছে।'
বিরোধী দলনেতাকে নিশানা
সোমবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারিকে নিশানা করে তীব্র আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, 'আমরা ক্রীতদাস সরকার নই। আমাদের শুধু দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। আপনারা টাকার পাহাড়ের কথা বলছেন। গেরুয়া পরে যাঁরা বসে রয়েছেন, তাঁদের বাড়িতে গেলেও টাকার পাহাড় পাওয়া যাবে। অন্যায় করলে শাস্তি হবে। কিন্তু বিরোধী দলনেতার বাড়িতে বিজেপি একবারও যাবে না। তবে তৃণমূলের কারও বাড়িতে অভিযোগ উঠলে সিবিআই যাবে।'
কেন্দ্রীয় সংস্থাকে পরিচালনার অভিযোগ
তবে কেন্দ্রীয় সরকার বা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় কেন্দ্রীয়কে ব্যবহার করার অভিযোগ নতুন নয়। এর বিরোধিতা করে ও ইডির ক্ষমতা কমাতে ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বহু প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিকরা। সেখানেও অভিযোগ, ইডির ক্ষমতা কেন্দ্রীয় সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে ব্যবহার করছে। সুপ্রিম কোর্ট এই মামলার শুনানি শুনতে সম্মত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আপের
মনীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি নিয়ে আপ ও বিজেপি সংঘাত চরমে পৌঁচেছে। কেজরিওয়াল সরকার যদিও সিবিআই তল্লাশির নেপথ্যে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী রয়েছেন বলে দাবি করেছে। পাশাপাশি কেজরিওয়াল অভিযোগ করেছে, সিবিআই তল্লাশি করে কিছু পায়নি। শুধুমাত্র আপ সরকারকে চাপে রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তল্লাশির নির্দেশ দিয়েছিলেন।