গরুপাচার কাণ্ডে এবার রাজ্যের আরও দুই আইপিএস অফিসারকে তলব করা হয়েছে। ডিসি সাউথ আকাশ মঘারিয়া এবং জ্ঞাননাথ সিংসকে তলব করা হয়েছে। তাঁদের ২৬ সেপ্টেম্বর এবং ২৮ সেপ্টেম্বর হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কয়েকদিন আগে বিজেপির নবান্ন অভিযানে শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতারের সময় আকাশ মাঘরিয়াকে দেখা গিয়েছিল।
ফের ইডি স্ক্যানারে রাজ্যের দুই আইপিএস অফিসার। গরু পচারের ঘটনায় আগেও একাধিক আইপিএস অফিসারকে তলব করেছিল ইডি। অনুব্রত মণ্ডলের আট জন আইপিএস অফিসারকে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গরু পাচার কাণ্ডে তাঁদের ভূমিকা কী ছিল তা জানতেই তলব করা হয়েছিল। সেসময় যাঁদের তলব করা হয়েছিল সেই তালিকায় ছিলেন, জ্ঞানবন্ত সিংহ, সুকেশ জৈন, রাজীব মিশ্র, কোটেশ্বর রাও, শ্যাম সিংহ, তথাগত বসু, সেলভা মুরুগান, ভাস্কর মুখোপাধ্যায়। তার মধ্যে কোটেশ্বর রাও হাজিরা দিয়েছিলেন। জ্ঞানবন্ত সিং হাজিরা এড়িয়ে যান।
ইডির দাবি গরু পাচারে এই আইপিএস অফিসারদের বড় ভূমিকা ছিল। যে এলাকা দিয়ে সেসময় গরু পাচার হত সেই সব একাধিক জায়গার দায়িত্বে িছলেন তাঁরা। কেউ আসানসোলে, কেউ দুর্গাপুরে আবার কেই মুর্শিদাবাদ, মালদহের দায়িত্বে ছিলেন। তাঁদের জেরা করে একাধিক তথ্য জানতে চাইছে ইডি।
এদিকে ইডির আইপিএস অফিসারদের তলবের তীব্র বিরোধিতা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সরব হয়েছেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির এই তৎপরতা িনয়ে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলে রাজ্যের আইপিএস অফিসারদের দুর্নাম করার চক্রান্ত চলছে। এটা চলতে থাকলে তার তীব্র প্রতিবাদ জানাবেন তিনি। কোনও ভাবেই রাজ্যের আইপিএসদের কালিমালিপ্ত করা মেনে িনতে পারছেন না তিনি।
এদিকে আগামিকাল ফের গরুপাচার কাণ্ডে গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডলকে আদালতে পেশ করা হবে। তাঁর জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামীকাল। তাকে হেফাজতে রাখতে নতুন করে প্রমাণ সাজাচ্ছে সিবিআই। আজ বোলপুরে পৌঁছে গিয়েছে সিবিআইয়ের বিশেষ টিম। তারা কেষ্টর ঘনিষ্ঠদের জেরা করতে পারে বলে সূত্রের খবর। কেষ্টর বেনামি সম্পত্তির হদিশ পেতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে সিবিআই।