শশী থারুরের টুইট
সোমবার সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা শশী থারুর। তার আগে টুইটে কংগ্রেস সাংসদ লেখেন, 'দলের গঠনমূলক সংস্কার চেয়ে কংগ্রেসের তরুণ সদস্যরা একটি আবেদন প্রচার করছেন। সেই আবেদনে ইতিমধ্যে ৬৫০ জন স্বাক্ষর করেছে। এই আবেদনকে আমি সমর্থন করতে পেরে খুশি।' প্রসঙ্গত, আবেদনে বলা হয়েছে, 'আমরা সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির সভাপতির নির্বাচনে প্রতিটি প্রার্থীর কাছে আবেদন জানাচ্ছি, সভাপতি নির্বাচনের ১০০ দিনের মধ্যে উদয়পুর ঘোষণা বাস্তবায়িত করতে হবে। সভাপতি নির্বাচনের পরেই তাঁকে জনসম্মখে এই বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।'
কংগ্রেসের ‘উদয়পুর ঘোষণা’ কী
২০২২ সালের মে মাসে রাজস্থানের উদয়পুরে কংগ্রেসের প্রবীণ নেতারা দলের সংস্কারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। বিক্ষুব্ধ কংগ্রেসকে পুরনরুজ্জীবিত করতে এবং দলের অভ্যন্তরে দ্বন্দ্ব মেটাতে সাংগঠনিক সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। একদিকে যেমন দলের তরুণ নেতাদের অগ্রাধিকারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। তেমনি 'এক ব্যক্তি, একটি পদ' এবং 'এক পরিবার, একটি টিকিট' নিয়ম বলবৎ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এটাই 'উদয়পুর ঘোষণা' নামে পরিচিত। কংগ্রেসের তরুণ নেতারা পরবর্তী কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত ১০০ দিনের মধ্যে এই উদয়পুর ঘোষণা বাস্তবায়িত করার প্রতিশ্রুতি আদায়ে দলের অভ্যন্তরে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছেন বলে জানা গিয়েছে।
কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে শশী থারুর!
কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে শশী থারুরের অংশগ্রহণে করতে পারেন বলে জল্পনা দেখা দিয়েছিল। সেই জল্পনা উড়িয়ে দেন কংগ্রেসের এই প্রবীণ সাংসদ। তিনি বলেন, কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে তিনি অংশগ্রহণ করছেন না। মালায়ম একটি সংবাদপত্রে তিনি লেখেন, 'কংগ্রেসের অন্য যে কোনও নেতা সভাপতি নির্বাচনের জন্য প্রার্থী হতে পারেন। আমি শুধু সভাপতি নির্বাচনকে সমর্থন জানাচ্ছি।' ২৪ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দিতে হবে। ১৭ অক্টোবর কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন হবে। ১৯ সেপ্টেম্বর ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
প্রবীণ কংগ্রেস নেতাদের ইস্তফা
শশী থারুর জি-২৩ কংগ্রেস নেতাদের মধ্যে একজন যিনি দলের অভ্যন্তরে সংস্কারের দাবি জানিয়ে সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখেছিলেন। চিঠিতে কংগ্রেসের প্রবীণ নেতারা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেছিলেন। সেখানে দলের সভাপতি নির্বাচনের দাবি তোলা হয়েছিল। এরপর জি-২৩ এর কপিল সিব্বাল, গুলাম নবী আজাদের মতো কংগ্রেসের একাধিক প্রবীণ নেতা দল ছাড়েন। দল ছাড়ার সময় গুলাম নবী আজাদ রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন। এছাড়াও দলের অভ্যন্তরে দ্বন্দ্বের জেরে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং পদত্যাগ করেন।