সোর্ড আর্মস
৫১ স্কোয়াড্রন, যা 'সোর্ড আর্মস' নামেও পরিচিত, বিষয়টির সাথে পরিচিত একজন কর্মকর্তা সোমবার এমন কথাই জানিয়েছেন। উইং কমান্ডার (বর্তমানে গ্রুপ ক্যাপ্টেন) অভিনন্দন বর্ধমান, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সালে নিয়ন্ত্রণ রেখায় একটি ডগফাইট চলাকালীন একটি পাকিস্তানি এফ-১৬ যুদ্ধবিমানকে গুলি করে মাটিতে ফেলে দেয়। এরপরে তাঁর বিমানটিও পাক সীমায় পড়ে গিয়েছিল, পাক সেনা তাঁকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেও একটি কথাও বার করতে পারেনি। শেষে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এই জন্য তিনি বীর চক্রে ভূষিত হন, সেই সময়ে স্কোয়াড্রনের অংশ ছিলেন।
পাক হামলা
ভারতীয় বিমান বাহিনী পাকিস্তানের বালাকোটে সন্ত্রাসবাদী বিমান ধ্বংস করার একদিন পরে যখন ২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি আইএএফ-এর মিরাজ-২০০০এস পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের অঞ্চলে বোমাবর্ষণ করেছিল। এই হামলাটি কাশ্মীরের পুলওয়ামা আত্মঘাতী হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ছিল। যা ১৪ ফেব্রুয়ারি সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) ৪০ জন সদস্যের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল।
মিগ-২১ বিধ্বস্ত হয়েছে বেশি
অন্যান্য ফাইটার জেটের তুলনায় বেশি মিগ-২১ বিধ্বস্ত হয়েছে কারণ তারা দীর্ঘ সময়ের জন্য আইএএফ-এর ইনভেনটরিতে বেশির ভাগ যুদ্ধবিমান তৈরি করেছে। এর পূর্বসুরি মিগ ১৯, যা ছিল মূলত গ্রাউন্ড এট্যাক ফাইটার। ১৯৪৮-৪৯ সালে সোভিয়েতরা মিগ-১৭, মিগ-১৯ এবং সুখোই-৭ এর সমন্বয়ে একটা সুপারসনিক ফাইটার বিমান তৈরির ডিজাইন সম্পন্ন করে। মিগ-২১ এর পরীক্ষামূলক উড্ডয়নের পরে সোভিয়েতরা বুঝতে পারে যে ফাইটার অনুপাতে ইঞ্জিনের ক্ষমতা কম তখন এই ঝামেলা সারিয়ে তৈরি করা হয় আরেকটি প্রটোটাইপ। এই প্রটোটাইপও ডানার ঝামেলার কারণে বিফল হয়। একই অবস্থায় পড়ে তাদের টেস্টিং প্রটোটাইপও। অবশেষে ১৬ জুন ১৯৫৫ সালে সর্বশেষ প্রটোটাইপ চূড়ান্তভাবে বানানোর অনুমতি পায়, এবং এই ফাইটার সার্ভিসে আসে ১৯৫৯ সালে। পরে সোভিয়েত রাশিয়ার বিমান বাহিনী বহরে এই বিমান যুক্ত করা হয়।
অবসর
কর্মকর্তা বলেছেন, বাকি তিনটি 'MiG-21' স্কোয়াড্রনকে ২০২৫ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে অবসরে পাঠানো হবে।বিগত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি 'MiG-21' বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে, দুর্ঘটনাগুলি ভারতের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী ফাইটার প্লেন, এর সুরক্ষা রেকর্ড এবং আগামী বছরগুলিতে নতুন মডেলগুলির সাথে পুরনো জেটগুলিকে প্রতিস্থাপন করার IAF-এর পরিকল্পনাগুলির উপর আলোকপাত করেছে৷
বিমান বাহিনী ১৯৬৩ সালে তার প্রথম একক-ইঞ্জিন মিগ-২১ পেয়েছিল এবং এটি বিমান বাহিনীকে যুদ্ধ ক্ষেত্রে আরও শক্তিশালী করার জন্য সোভিয়েত-অরিজিন সুপারসনিক যোদ্ধাদের ৮৭৪টি রূপ অন্তর্ভুক্ত করে। গত ছয় দশকে ৪০০টিরও বেশি মিগ-২১ দুর্ঘটনায় মুখে পড়ে, প্রায় ২০০ জন পাইলট নিহত হয়েছে।