মমতার বিরুদ্ধে ভিলেন যাঁরা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সরাসরি বললেন, মোদী ভালো বিজেপি খারাপ। কেন মোদী ভালো, আর কারা রাজ্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে তাও প্রচ্ছন্নভাবেই জানালেন। তিনি আসলে জানালেন, নরেন্দ্র মোদী ভালো আর অমিত শাহ খারাপ! শুধু অমিত শাহই নয় মোদী বাদে বিজেপির পুরোটাই খারাপ। আর থারাপ রাজ্যের পদ্ম-নেতারা।
বুঝিয়েই দিলেন আসল লোক কে?
সোমবার বিধানসভায় মমতা বলেন, আমি বিশ্বাস করি না যে, নরেন্দ্র মোদী ইডি-সিবিআই লেলিয়ে দিচ্ছেন। তিনি একাজ করতে পারেন না। আসলে এসব বিজেপি নেতাদের কাজ। তিনি বলেন আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন যে, ইডি-সিবিআই আর প্রধানমন্ত্রীর দফতর দেখে না, দেখে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। অর্থাৎ তিনি ঘুরিয়ে বুঝিয়েই দিলেন আসল লোক কে? রাজ্যে ইডি-সিবিআই নিয়ে তৎপরতা নিয়ে নিন্দা প্রস্তাব পেশ করে মমতা তা খোলাখুলিই জানান।
অমিত শাহের দিকে স্পষ্ট ইঙ্গিত
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম না করলেও স্পষ্ট করেই বলেই দেন, নরেন্দ্র মোদী ভালো আর অমিত শাহ খারাপ। কারণ কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশেই ইডি-সিবিআই রাজ্যে সক্রিয়। আর সেইসঙ্গে রয়েছে রাজ্যের নেতাদের মদত। বিজেপি ইডি-সিবিআইকে সক্রিয় করছে শুধু নির্বাচনী ফায়দা তুলতে। ভোট এলেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে কাজে লাগায় বিজেপি।
মোদীর প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশ্বাস
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় স্পষ্ট হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতি বিশ্বাস। মমতা জানিয়েছেন, তিনি বিশ্বাস করেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইডি-সিবিআইকে লেলিয়ে দেবেন না রাজ্যের বিরুদ্ধে। কারণ তিনি মুখ্যমন্রীদ্ থাকাকালীন, সিবিআই-ইডির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। কীভাবে কেন্দ্র এ ব্যাপারে রাজ্যের পিছনে লাগে, তা তাঁর জানা। তাই তিনি এই কাজ করবেন না।
মোদী বাদে গোটা বিজেপি কালপ্রিট মমতার কাছে
মমতা বলছেন, এসব করছে বিজেপি। করছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে। এটা আসলে বিরোধীদের এজেন্সি দিয়ে দমিয়ে রেখে যুদ্ধ জয়ের চেষ্টা। অভিযোগ, যখনই ভোট আসে রাজ্যে রাজ্য তৎপর হয় সিবিআই-ইডি। এটা বিজেপির প্রচ্ছন্ন মদতেই হয়। বিজেপি আদতে কোনও কাজ করে না। দমন-পীড়ন করে ক্ষমতার অলিন্দে থাকাই বিজেপির আসল উদ্দেশ্য। সেই কারণেই পরিকল্পিতভাবে ইডি-সিবিআইকে ব্যবহার করা হচ্ছে।
মমতা চান সিবিআই-ইডির নিরপেক্ষ তদন্ত
ইডি-সিবিআই তদন্ত নিয়ে মমতা সাফ জানান, তদন্ত হোক ইডি-সিবিআই দিয়ে। কিন্তু তা হোক নিরপেক্ষ। দুর্নীতি হলে সামনে আসুক। কেন শুধু তাঁদের দলের নেতা-নেত্রীদের বাড়িতে তল্লাশি চলবে? কেন বিরোধী দলনেতার বাড়িতে তল্লাশি হবে না, কেন বিজেপির অন্যান্য নেতাদের বাড়িতে তল্লাশি হবে না। তিনি বলেন, বিজেপির যে কোনও নেতার বাড়িতে তল্লাশি হলে কোটি কোটি টাকা মিলবে। প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি আমাদের নিয়ে তল্লাশি চালাক, কোথা থেকে টাকা বের হয় আমরা দেখিয়ে দেব।