কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়
তদন্তে নেমে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর বান্ধবী অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়। বেলঘরিয়া এবং অপর একটি ফ্ল্যাট মিলিয়ে মোট ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে জানাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এমনকি পাঁচ কোটি টাকার সোনা উদ্ধার হয়েছে বলেও জানাচ্ছে তদন্তকারী সংস্থা। শুধু তাই নয়, ৩৫ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ মিলেছে বলেও জানা যাচ্ছে। আর তাতে প্রায় ৮ কোটি টাকার হদিশ পাওয়া গিয়েছেও জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা।
বিপুল স্থাবর-অবস্থাবর সম্পত্তি
শুধু তাই নয়, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতার নামে প্রচুর স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তির হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। যেগুলির মূল্য কোটি টাকা বলে জানানো হয়েছে। ৪০ টি অস্থাবর সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। যার বাজার দর প্রায় ৪০ কোটি টাকার কাছাকাছি বলেও জানানো হয়েছে ইডির তরফে। এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির পুরো তথ্য ইডির তরফে জমা দেওয়া চার্জশিটে উল্লেখ থাকছে বলে জানা যাচ্ছে।
একাধিক ডিরেক্টরের নাম
তদন্তে নেমে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে একাধিক ভুয়ো সংস্থার হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। তাতে একাধিক ডিরেক্টরের নাম রয়েছে। ইডির তরফে এদিন প্রায় এক হাজার পাতার চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। সেখানে এই সমস্ত ডিরেক্টরদের নাম উল্লেখ রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এছাড়াও আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে তবে চার্জশিট জমা পড়লেও তদন্ত শেষ হচ্ছে না বলে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তদন্তকারী সংস্থার তরফে। ইডি জানাচ্ছে, বড়সড় কেলেঙ্কারি হয়েছে। এতে একাধিক প্রভাবশালী জড়িত বলেও দাবি করা হয়েছে ইডির তরফে।
৫৮ দিেনর মাথায় চার্জশিট
৫৮ দিেনর মাথায় চার্জশিট জমা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তাতে আরও চাপ বাড়ল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে দুর্নীতির মূল চক্রী হিসেবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় দাবি করা হয়েছে ইতিমধ্যে। চার্জশিটে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মূল পাণ্ডা হিসেবে দাবি আশঙ্কা। নাম রয়েছে অর্পিতার।