কী বললেন শরদ পাওয়ার
একটি অনুষ্ঠানে এনসিপি সভাপতি শরদ পাওয়ার ও তাঁর মেয়ে তথা সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে অংশগ্রহণ করেন। সেখানেই মহিলা সংরক্ষণ ইস্যুতে সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন। মহিলা সংরক্ষণ বিল লোকসভা ও বিধানসভায় মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করার পক্ষপাতী। এই প্রসঙ্গে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, এই বিলটি পাস করানোর জন্য প্রতিটি রাজনৈতিক দলের সচেষ্ট হওয়া প্রয়োজন।
সাংসদদের মানসিকতা নেই
শরদ পাওয়ার মন্তব্য করেন, এই বিলটি পাস করার মানসিকতা সাংসদদের বিশেষ করে উত্তর ভারতের সাংসদদের নেই। তিনি বলেন, আমার মনে আছে তখন আমি কংগ্রেসের লোকসভার সাংসদ ছিলাম। সেই সময় আমি মহিলাদের সংরক্ষণের পক্ষে সওয়াল করতাম। আমি একাধিকবার এই বিষয়ে বক্তব্য রেখেছি। বক্তব্য শেষের পর দেখেছি, বেশিরভাগ সাংসদ উঠে চলে গিয়েছেন। সেখান থেকে আমরা মনে হয়েছে, দলের সদস্যরাই মহিলা সংরক্ষণ মেনে নিতে চান না। তিনি বলেন, আমি যখন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম, সেই সময় জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতির মতো স্থানীয় সংগঠনগুলোতে মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ শুরু করেছিলাম। প্রথম প্রথম মানুষ বিরোধিতা করেছিলেন। এই বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি। পরে মানুষ মেনে নিয়েছিলেন।
মহিলা সংরক্ষণ বিল
এইচডি দেবগৌড়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন মহিলা আসন সংরক্ষণের প্রসঙ্গ উঠে আসে। সংসদীয় রাজনীতিতে মহিলাদের ক্ষমতায়ণের জন্য এই বিলটি সামনে নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু একাধিকবার সংসদে পেশ করার পরেও এখনও পর্যন্ত মহিলা সংরক্ষণ বিলটি পাস হয়নি। অনেক ক্ষেত্রে মহিলা সংরক্ষণের বিলের বিষয়ে নানা নেতি বাচক মন্তব্য উঠে এসেছে। অনেক ক্ষেত্রে অভিযোগ উঠেছে, মহিলারা অনেক ক্ষেত্রে বকলমে ক্ষমতার অধিকারী থাকলেও আদতে সেই পরিবারের পুরুষের হাতে সমস্ত ক্ষমতা থাকে।
পশ্চিমবঙ্গে মহিলা সংরক্ষণ
পশ্চিমবঙ্গে স্থানীয় প্রশাসন মহিলা সংরক্ষণ আসন চালু করে। এরপরে সেখানে দেখা গিয়েছে, যেখানে আসনগুলো মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে, সেখানে মূলত ক্ষমতাশালী রাজনৈতিক দলের যে পুরুষ সদস্য রয়েছেন, তাঁদের পরিবারের কোনও মহিলাকে প্রার্থী করা হয়। বাইরে থেকে দেখতে গেলে একজন মহিলা ক্ষমতায় থাকছে। আদতে ক্ষমতায় থাকছেন ওই পরিবারের পুরুষ সদস্যরা।