জেলা সফরের রুটিন তৈরি করে দিচ্ছে শীর্ষ নেতৃত্ব
বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে জেলায় জেলায় তৃণমূল তাদের কর্মসূচি চূড়ান্ত করে ফেলেছে। শুধু দুর্গোৎসব শেষের অপেক্ষা। তারপরই তৃণমূল শুরু করে দেবে অভিযান। পুজোর পর কোমর বেঁধে নামছে তারা। নতুন কর্মসূচিতে দলের নেতাদের জেলা সফরের রুটিন তৈরি করে দিচ্ছে শীর্ষ নেতৃত্ব।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জনসংযোগে তৃণমূল
প্রাথমিকভাবে রাজ্যের শীর্ষ নেতাদের দায়িত্ব দিয়ে জেলা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুজোর পর পালা করে জেলায় জেলায় গিয়ে সভা-সমিতি করবেন রাজ্য নেতারা। সেজন্য নির্দিষ্ট রুটিন বেঁধে দেওয়া হচ্ছে তৃণমূলের তরফে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জনসংযোগে আরও জোর দিয়ে চাইছে শাসকদল।
সামগ্রিকভাবে সাংগঠনিক এলাকা ধরে নেতৃত্বকে দায়িত্ব
তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুধু রাজ্য নেতাদের নয়, জেলা নেতাদেরও কর্মসূচি দিয়ে বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হবে। অর্থাৎ এক জেলার নেতাকে পাঠানো হবে অন্য জেলায়। জেলা নেতাদেরও এভাবেই কর্মসূচি ফিক্সড করে দেওয়া হবে। শুধু কেবল বিধানসভা বা লোকসভা কেন্দ্র ধরে নয়, সামগ্রিকভাবে সাংগঠনিক এলাকা ধরে নেতৃত্বকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
নেতৃত্ব বদলের পর জনসংযোগের কর্মসূচি তৃণমূলের
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর তৃণমূলের জেলাস্তরের নেতৃত্বে বড়সড় রদবদল করা হয়েছে। ব্লকস্তরে আনা হয়েছে নতুন মুখ। এই নেতৃত্ব বদলের পর জনসংযোগের কর্মসূচি নেওয়া সংগঠনের পক্ষেও বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
দলের নেতাদের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে দিয়েছেন অভিষেক
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলের নেতাদের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে দিয়েছেন। সুষ্ঠুভাবে পঞ্চায়েত ভোট করতে হবে। শান্তি বজায় রেখে সংগঠনের জোরে জয় হাসিল করতে হবে। কেননা দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব জেলাপরিষদ উপহার দেওয়াই হবে তাঁদের মুখ্য উদ্দেশ্য।
লক্ষ্যপূরণের জন্যও প্রয়োজন নিবিড় জনসংযোগ
অভিষেক বলেন, লক্ষ্যপূরণের জন্যও প্রয়োজন নিবিড় জনসংযোগ। সে কারণেই রাজ্য নেতাদের জেলায় জেলায় পাঠানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যদিও দলের তরফে বলা হয়েছে, এটা রুটিন কর্মসূচি। তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, তৃণমূল সারা বছর পড়াশোনা করে। তাই পরীক্ষার আগে আলাদা করে পড়তে হয় না।