অবিশ্বাস্য হারের সম্মুখীন হল তারকাখচিত বায়ার্ন মিউনিখ। বুন্দেশলিগার হাইপ্রোফাইল এই দল ০-১ গোলে পরাজিত হল এফসি অগসবার্গের বিরুদ্ধে। অগসবার্গ এরিনায় বায়ার্নারের পরিচিত দাপট অটুট থাকলেও ম্যাচের শেষে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে় ম্যানুয়েল নয়ার-লিরয় সানের দলকে।
ম্যাচের প্রথম ১০ মিনিট অগসবার্গ বল ধরে খেলার চেষ্টা চালিয়েছিল এবং নিজেদের মধ্যে খেলে প্রতিপক্ষ বায়ার্নের দূর্গে আঘাত হানারও চেষ্টা করে। এই সময়ের পর থেকে বায়ার্নের হাতে ফের চলে আসে আক্রমণের রাশ। তবে, শুধু এক তরফাই আক্রমণ হয়নি। প্রথমার্ধারে ৩০ মিনিটের পর থেকে তীব্রতার সঙ্গে আক্রমণ করতে থাকে অসবার্গ। একাধিক বার গোল করার মতো পরিস্থিতি সেই সময় তৈরি করলেও কাঙ্খিত গোলের দেখা পাচ্ছিল না স্বাগতিক ক্লাবটি। যদিও এর পর বায়ার্নের হাতে গিয়েছিল আক্রমণের রাশ।
প্রথমার্ধে উভয় দলই গোলের দেখা পায়নি। সংক্ষিপ্ত কয়েকটি প্রতিআক্রমণ ছাড়া পুরো দ্বিতীয়ার্ধই ছিল বায়ার্ন মিউনিখের দাপটে। একের পর এক আক্রমণে বার্য়ানের অ্যাটাকিং লাইন ফালাফালা করে দিচ্ছিল অসবার্গের ডিফেন্সকে। কিন্তু প্রতিটা আক্রমণ সার্থক রূপ পাচ্ছিল না গোল পোল্যান্ডের গোলরক্ষক রাফা গিকিউইচের দুরন্ত গোলরক্ষার সামনে। ৩৪ বছর বয়সী গোলরক্ষক সাতটি গোল লক্ষ্য করে নেওয়া শট প্রতিহত করেন। যার মধ্যে পাঁচটি শটই ছিল বক্সের মধ্যে থেকে নেওয়া। প্রতি আক্রমণে উঠে এসে মারগিম বেরিসার ৫৯ মিনিটের গোল ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেয়। ব্রাজিলের লেফট ব্যাক লাগোর পাস থেকে গোল করে বায়ার্নকে মরসুমের প্রথম হার উপহার দেন অগসবার্গের মারগিম বেরিশা।
বায়ার্নের অবিশ্বাস্য হারের দিন সহজ জয় তুলে নিয়েছে বার্সেলোনা। বার্সা ঘরের মাঠে এলচেকে ৩-০ ব্যবধানে পরাজিত করে। বার্সেলোনার হয়ে দুই গোল করেন রবার্ট লেওয়ানডস্কি এবং এক গোল করেন মেমপিস ডিপে। ম্যাচের প্রথম ১৪ মিনিটের মাথায় এলচের ডিফেন্ডার গঞ্জালো ভার্ডু লাল কার্ড দেখেন। দশ জনের এলচের বিরুদ্ধে কাজটা আরও সুবিধা হয়ে যায় বার্সেলোনার জন্য। আলেজান্দ্রো বাল্ডে পাস থেকে ৩৪ মিনিটে রবার্ট লেওয়ানডস্কি গোল করে এগিয়ে দেন বার্সেলোনাকে। ৪১ মিনিটে বাল্ডের পাস থেকে দ্বিতীয় গোলটি করেন মেমপিস ডিপে। ৪৮ মিনিটে বার্সার হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন লেওয়ানডস্কি।