জলে ডুবে আছে গোটা গ্রাম! বিদ্যুতহীন এলাকার সব বাড়ি। সেই গ্রামের মানুষের কথা ভেবে ঝুঁকি নিয়েও ট্রান্সফর্মার ঠিক করতে ছুটলেন বিদ্যুৎ কর্মী। কর্নাটকের নরমুন্ড তালুকের ঘটনা। বছর ২৫ এর মঞ্জুনাথ কুমকর একেবারে বন্যার জল ঠেলে সাঁতার কেটে একেবারে পৌঁছে যান ট্রান্সফর্মারের কাছে।
ওই গ্রামে যাতে বাসিন্দারা পানীয় জল পান সেজন্য এই কাজ করেন মঞ্জুনাথ। একেবারে ঝুঁকি নিয়ে এই কাজ করেন তিনি।
কর্নাটকের নরমুন্ড তালুকের কন্নুর গ্রামের বিদ্যুৎ কর্মী এই যুবক। তিনি ওই ট্রান্সফর্মারের বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করতেই স্বস্তি ফিরে পান গ্রামবাসীরা। জল সরবরাহ শুরু হয় আগের মতোই। গত বুধবার এই কাজ করেছেন মঞ্জুনাথ। কিন্তু শুক্রবার সেই ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। আর এরপর থেকেই হিরো সে।
আর এরপরেই পুরো বিষয়টি সামনে আসে। সম্প্রতি নিম্নচাপের জেরে বিপুল বৃষ্টি হয়েছে। কর্নাটক সহ দক্ষিণ ভারতের একটা বড় অংশের এর জেরেই ওই এলাকাতে জল জমে যায়। একাধিক গ্রাম জলে ডুবে যায়।
আর এই ঘটনার পরেই একেবারে অন্ধকারে ডুবে যায় গোটা গ্রাম। পানীয় জলের তীব্র অভাব শুরু হয়। গ্রামবাসীরা রীতিমত সমস্যার মধ্যে পড়ে যান। প্রবল বৃষ্টির পর নাভিলওতির্থ বাঁধ থেকে অতিরিক্ত জল ছেড়ে দেওয়া হয়। আর এই জলেই কন্নুর বন্যার কারণ হয়। জলে ডুবে যায় এলাকার দুটি ট্রান্সফর্মার।
যাতে যুক্ত ছিল ১১ হাজার কেভির হাইটেনশন তার। এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে যেভাবেই হোক ওই ট্রান্সফর্মার চালু করাটা প্রয়োজন ছিল। আর তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ওই ট্রান্সফর্মার চালু করতে চলে যান মঞ্জুনাথ। একেবারে জলে ডুবে থাকা ওই ট্রান্সফর্মার গুলি চালু করতে যে কোনও সময় মৃত্যু ঘটতে পারত।
কিন্তু সব ভুলেই ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মঞ্জুনাথ বিপদ নিয়েই ওই ট্রান্সফর্মার চালু করার কাজ করছেন। আর তা চালুও করেছেন। তবে যেভাবে মঞ্জু এই কাজ করেছেন তা জেনে স্যালুট জানাচ্ছেন গোটা এলাকার মানুষ তো বটেই। ধন্য ধন্য করছে দেশও।