জাদেজার অভাব
টি ২০ বিশ্বকাপে অন্যতম ফেভারিট ভারত রবীন্দ্র জাদেজার অভাব অনুভব করবে বলে মনে করেন জয়বর্ধনে। অলরাউন্ডার জাড্ডু ভারতীয় দলে ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে থাকেন। টি ২০ বিশ্বকাপে তাঁর উপযুক্ত পরিবর্ত খুঁজে বের করা চ্যালেঞ্জ টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে। জয়বর্ধনে বলেন, এটা ভারতীয় দলের কাছে একটা চ্যালেঞ্জ। জাদেজা দারুণভাবে পাঁচ নম্বর ব্যাটার হিসেবে দলে ফিট হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি ভালো ব্যাটিং করছিলেন। টপ অর্ডারে হার্দিক পাণ্ডিয়ার সঙ্গে জাদেজার অলরাউন্ডার হিসেবে উপস্থিতি দলের ক্ষেত্রে ভালো বিকল্প হয়ে উঠেছিল। এতে ব্যাটিং অর্ডারে ফ্লেক্সিবিলিটি আসে, অর্থাৎ ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে ক্রিকেটারদের পরিস্থিতি অনুযায়ী নামানো যাচ্ছিল। সর্বোপরি জাদেজা একজন বাঁহাতি ব্যাটার। এই পরিস্থিতিতে দীনেশ কার্তিকের চেয়ে ঋষভ পন্থ বেশি কার্যকরী হতে পারেন বলে মনে করেন জয়বর্ধনে। পন্থকে চার বা পাঁচে ভারত খেলাবে বলে ধারণা তাঁর। যদিও জাদেজাকে না পাওয়া দলের ক্ষতি বলেই মনে করেন জয়বর্ধনে।
বিরাট-ভরসা
তবে ভারতের সাফল্য অনেকটা যে বিরাট কোহলির উপর নির্ভর করবে তা নিয়ে সংশয় নেই জয়বর্ধনের। তিনি বলেন, বিরাট শুধু বড় রানটাই পাচ্ছিলেন না নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নেওয়ার জন্য। বিশেষ করে সাদা বলের ক্রিকেটে। কিন্তু এই ফর্মে ফেরাটা প্রত্যাশিতই ছিল। হাল্কা চোট-আঘাতের সমস্যা ছিল। ভারত ক্রিকেটারদের ওয়ার্কলোড ম্যানেজ করার প্রক্রিয়ায় বিরাটকেও বিশ্রাম দিয়েছে। এশিয়া কাপে তিনি ভালো ব্যাট করেছেন। দেখিয়ে দিয়েছেন তিনি কী করার ক্ষমতা রাখেন।
কোহলি যখন ফ্যাক্টর
জয়বর্ধনে বিরাট সম্পর্কে আরও বলেন, তিন নম্বরে নেমে বিরাট দলের ব্যাটিং লাইন-আপে যে ভরসা দিয়ে থাকেন এবং আত্মবিশ্বাস ছড়িয়ে দেন, তা নিশ্চিতভাবেই টি ২০ বিশ্বকাপে একটা ফ্যাক্টর হতে চলেছে। যা প্রতিপক্ষের জন্য ভাবার বিষয়ও। কোহলিকে চেনা ছন্দে ব্যাট করতে দেখে ভালো লাগছে। প্রতিটি দলই চাইবে সেরা ক্রিকেটাররা সেরা ফর্মে থাকুন। বিশ্বকাপে এটা খুব জরুরিও। কেউই কাউকে ছেড়ে কথা বলবে না। তুল্যমূল্য লড়াই প্রত্যাশিত। সবমিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় টি ২০ বিশ্বকাপ চিত্তাকর্ষকই হবে বলে নিশ্চিত মাহেলা।
বুমরাহ আসায় বোলিং শক্তিশালী
এশিয়া কাপে ছিলেন না দেশের এক নম্বর জোরে বোলার জসপ্রীত বুমরাহ। চোট সারিয়ে তিনি অস্ট্রেলিয়া সিরিজেই দলে ফিরেছেন। মাহেলা বলেন, ভারতের খেলার ধরন, স্কিল, প্রতিভা নিয়ে কিছু বলার নেই। শুধু তিন বিভাগে আরও কিছুটা আত্নবিশ্বাস বাড়িয়ে নেওয়াটা জরুরি। এই বিষয়গুলির ক্ষেত্রে ভারত উন্নতি করতে চাইবে। বোলারদের নিজেদের দক্ষতা অনুযায়ী বোলিং করে উইকেট তুলে নেওয়ার আত্মবিশ্বাসটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। জসপ্রীতের না থাকাটা অবশ্যই একটা ফ্যাক্টর ছিল। নতুন বলে এবং শেষের ওভারগুলিতে বুমরাহ অনেকটাই শূন্যতা পূরণ করে ফেলবেন। বিশ্বকাপে ধারাবাহিকতা খুব জরুরি। সঠিক সময়ে সেরা ক্রিকেট খেলাটাই মূল কথা। সেই পর্যায়ে নিজেদের খেলা নিয়ে যেতে পারলে ভারত বিশ্বকাপে ভালো ফল করবে বলে মনে করেন জয়বর্ধনে।