কী বললেন উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী
সাংবাদিকদের উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেপি মৌর্য বলেন, 'লখিমপুরের ঘটনা দুঃখজনক এবং দুর্ভাগ্যজনক। সমস্ত অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি আশা করব বিরোধীরা অখিলেশ যাদব, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বা মায়াবতী যেই হন না কেন তাঁরা যেন রাজনীতি করার পরিবর্তে মৃতাদের পরিবারকে সান্ত্বনা দেন। উত্তরপ্রদেশে আইনের শাসন বিরাজ করছে। আইনের বাইরে কেউ নন।' রাজ্যের অন্য উপমুখ্যী রাজেশ পাঠক সংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দলিত মেয়েরা বিচার পাবেন বলে আশ্বাস দেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, অপরাধীদের এমন শাস্তি দেওয়া হবে, ভবিষ্যতে এই ধরনের অপরাধ করতে গেলে যে কোনও মানুষ ভয় পাবে। তিনি বলেন, দ্রুত ন্যায় বিচার পাবেন দলিত মেয়েরা। আদালতের ওপর তাঁর আস্থা রয়েছে।
ঘটনায় গ্রেফতার ছয়
অন্যদিকে, লখিমপুর খেরির পুলিশ সুপার (এসপি) সঞ্জীব সুমন বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, এই মামলায় ছোটু, জুনায়েদ, সোহেল, হাফিজুল, করিমুদ্দিন এবং আরিফ নামে মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এনকাউন্টারে জুনায়েদকে পুলিশ আটক করে। এনকাউন্টারের সময় পুলিশের গুলি জুনায়েদের পায়ে লাগে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের সঙ্গে নির্যাতিতাদের বন্ধুত্ব ছিল। সঞ্জীব সুমন জানিয়েছেন, দলিত দুই তরুণীকে প্রথমে চাষের একটি ক্ষেতে নিয়ে যাওয় হয়। সেখানেই সোহেল ও জুনায়েদ দুই তরুণীকে ধর্ষণ করে। অভিযুক্তদের দুই তরুণী বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করে। সেই সময় সোহেল, হাফিজুল ও জুনায়েদ তাদের শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর তারা করিমুদ্দিন ও আরিফকে ডেকে এনে দুই তরুণীকে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেয়। আত্মহত্যার তত্ত্ব প্রমাণ করতে চায়।
প্রতিবেশী সূত্রেই অভিযুক্তদের সঙ্গে আলাপ
লখিমপুর খেরির পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ছোটু ছাড়া অভিযুক্তরা সকলেই লালপুর গ্রামের বাসিন্দা। এই ছোটুর সঙ্গে দুই তরুণীর আগে থেকে বন্ধুত্ব ছিল। ছোটুই বাকিদের সঙ্গে দুই তরুণীর পরিচয় করিয়ে দেয় বলে তদন্তে জানা গিয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় লখিমপুরের নিঘাসন থানার অন্তর্গত লালপুর মাজরা তামোলি পূর্ব গ্রামের একটি ক্ষেতে দুই তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। এরপরেই স্থানীয় গ্রামবাসীরা বিোক্ষভ দেখান। দুই তরুণীর পরিবার তিনজনের বিরুদ্ধে তিন জনের বিরুদ্ধে খুন ও ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে আসে। পুলিশ তদন্তে নেমে ঘটনায় ছয় জনকে গ্রেফতার করে।