অন্তত ১০ বিধায়ককে কিনতে প্রস্তাব
আপের তরফ থেকে অভিযোগ করে বলা হয়েছিল, দলের অন্তত ১০ বিধায়কের প্রত্যেককে ২৫ কোটি টাকা করে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। টাকা দিয়েই পঞ্জাবে তাদের সরকার ফেলতে চায় বলেও অভিযোগ করেছিল আপ।
এফআইআর দায়ের করেছে আপ
রাজ্য পুলিশের তরফে সংবাদ মাধ্যমে জানানো হয়েছে, কিছু বিধায়ক অভিযোগ জানানো পরে পঞ্জাব পুলিশ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৪ নং ধারা এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৭১ বি এবং ১২০ বি-এর অধীনে অভিযোগ নথিভুক্ত করেছে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে এবং স্ট্যান্ডার্ড গাইডলাইন অনুসারে তা ভিজিল্যান্স ব্যুরোতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার রাজ্যের অর্থমন্ত্রী হরপাল সিং চিমার সঙ্গে বিধায়ক বুধ রাম, কুলবন্ত পাণ্ডরি, মনজিৎ সিং, দিনেশ চাড্ডা, রমন অরোরার, নরিন্দর কৌর ভারাজ, রজনীশ দাহিয়া, রুপিন্দর সিং হ্যাপি, শীতল আঙ্গুরাল এবং লাভ সিং ডিজির অফিসে গিয়ে দেখা করেন।
পরে অর্থমন্ত্রী সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিজেপি কৌশল প্রকাশ করতে তিনি এবং আপ বিধায়করা তদন্তের দাবি করে ডিজির কাছে প্রমাণ জমা দিয়ে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেছেন। জলন্ধর পশ্চিমের বিধায়ক শীতল আঙ্গুরালকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে পুলিশের কাছে।
স্বাধীন তদন্ত চায় কংগ্রেস
পঞ্জাবে প্রধান বিরোধী কংগ্রেস। তাদের তরফে দাবি করা হয়েছে হাইকোর্টের তত্ত্বাবধানে তোনও স্বাধীন সংস্থাকে দিয়ে বিষয়টির তদন্ত করানো হোক। তারা বলছে সাধারণ মানুষের মোহভঙ্গ হতে শুরু করায় অজুগাত তৈরির চেষ্টা করছে আপ। অন্যদিকে বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগকে হাস্যকর কৌতুক বলে উড়িয়ে সিবিআই তদন্ত চাওয়া হয়েছে।
অপারেশন লোটাস ব্যর্থ হয়েছে
পঞ্জাবের অর্থমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, দিল্লি ও পঞ্জাবের বিজেপি এজেন্ট ও কর্মীরা পঞ্জাবের সরকার ভাঙতে অন্তত ৩৫ জন বিধায়ক ভাঙানোর চেষ্টা করছে। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, বিজেপি ইডি-সিবিআই-এর মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করে বিভিন্ন রাজ্যের নির্বাচিত সরকারকে ভেঙে দিয়ে গণতন্ত্রকে হত্যা করছে।
পাশাপাশি তিনি দাবি করেছেন, পঞ্জাবে বিজেপির অপারেশন লোটাস ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেছেন, বিজেপি বিধায়ক কোটি কোটি টাকার অফার দেওয়ার পরেও, তারা অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এর আগে দিল্লিতেও বিজেপির অপারেশন লোটাস ব্যর্থ হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।