উজবেকিস্তান পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। SCO অর্থাৎ সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের সম্মেলনে যোগ দিতেই তাঁর এই সফর। আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে এই বৈঠক। সেখানেই তাঁর সঙ্গে একাধিক রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে। এই বৈঠকে দেখা হবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে।
আঞ্চলিক এবং বাণিজ্যিক সহ একাধিক বিষয়ে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের কথা হবে বলে জানা যাচ্ছে। তবে শেষমেশ কি কথা হয় গোটা বিশ্বে পুতিন এবং মোদীর বৈঠকের দিকে তাকিয়ে। দুদিনের সফরে গিয়েছেন মোদী এবং পুতিন উভয়ই।
করোনা পরিস্থিতির কারণে গত দুবছর ভার্চুয়ালের মাধ্যমে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের সম্মেলন হয়। দুবছর প্রথমবার মুখোমুখি হচ্ছেন নেতারা। আটটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা এই বৈঠকে মুখোমুখি হবেন। বিশ্বের সাম্প্রতিক একাধিক বিষয় এবংআঞ্চলিক ইস্যু নিয়ে কথা হবে এই আট দেশের রাষ্ট্র প্রধানের মধ্যে।
ভারতের রুশ রাষ্ট্রদূত ডেনিস আলিপভ জানিয়েছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট উজবেকিস্তানে আসছেন। সমরকন্দে একাধিক বৈঠক হবে। এর মকধ্যে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন রুশ রাষ্ট্রদূত ডেনিস আলিপভ। এর আগে রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমের তরফেও জানানো হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বিশ্বের এক্লাধিক ইস্যু নিয়ে কথা হবে পুতিনের।
কথা হবে এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওন নিয়েও। এবারের এই বৈঠক সব দিক থেকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সভাপতিত্ব করবে ভারত। ২০২৩-এ সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকে নেতৃত্ব দেবে ভারত। এবং সভাপতিত্ব করবে জি-২০ সম্মেলনেও।
গত জুলাই মাসে ফোনে কথা হয়েছিল মোদী এবনবগ পুতিনের। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে ভারত সফরে এসেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট। সেই সময় যে সমস্ত সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছিল সেই ব্যাপারে গত জুলাই মাসে ফোনে কথা হয়েছি;ল বলে সূত্রে খবর। এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরু হয়।
আর এরপরেই পুতিনকে ফোন করেছিলেন মোদী। দীর্ঘ সময় ধরে কথা হয়েছিল দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে দাঁড়িয়ে আগামীকাল শুক্রবার রাশিয়া এবং ভারতের রাষ্ট্রপ্রধানের এই বৈঠক খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। বৃহস্পতিবার উজবেকিস্তান উড়ে যাওয়ার আগে এই বিষিয়ে টুইট করে বিস্তারিত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, একগুচ্ছ ইস্যু নিয়ে কথা হবে রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে। এই সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের সদর দফতর রয়েছে চিনে। এসসিও বিশ্বের তিনটি প্রধান অর্থনীতিতে শক্তিশালী দেশ রয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে চিন, ভারত এবং রাশিয়া। রয়েছে শক্তি সমৃদ্ধ কাজাখস্তানও। কিরগিজস্তান, উজবেকিস্তানও এর অংশিদার। ইরান, আরেকটি জ্বালানি সমৃদ্ধ দেশ যারা এই বছর আনুষ্ঠানিকভাবে এই দলে যোগ দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সিবিআইয়ের হাতে ধৃত কে এই কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জানেন? কীভাবেই বা কাজ করত চক্র