উনি কি বন্দুক নিয়ে ঘোরেন?
এদিন সকালে ইকো পার্কে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে তিনি কটাক্ষ করে বলেন বাঁশের থেকে কঞ্চির দর বেশি। তারপরেই তাঁর প্রশ্ন আজকাল কি উনি বন্দুক নিয়ে ঘোরেন? না হলে গুলি করার কথা বলেন কী করে? গুলি চালাবেন যে বলছেন, হিম্মত আছে, প্রস্ন করেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি আরও বলেছেন, ডায়লগ কালীঘাটে দেবেন, বাইরে আসবেন না, অনেক কিছু হয়ে যাবে!
পুলিশকে নিশানা
এদিন পুলিশের উদ্দেশেও তোপ দাগেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, এই পুলিশ ভবানীপুর থানায় কাকে মেরেছিল? আলিপুরে টেবিলের তলায় আলমারির পিছনে লুকিয়ে কারা পড়েছিল? সিএএ নিয়ে যখন রাজ্য তোলপাড় সেই সময় জাতীয় সড়কে লুঙ্গি ড্যান্স দেখা গিয়েছিল। ট্রেন-বাস জ্বালানো হয়েছিল। তখন পুলিশ কোথায় ছিল? তিনি প্রশ্ন করেন, এত লুটপাট হয়েছে, কারও টিকির নাগাল কি পাওয়া গিয়েছে?
বুধবার এসএসকেএম-এ অভিষেক
বুধবার কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে এসএসকেএম-এ দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের অভিষেক বলেন, মঙ্গলবার পুলিশ অনেক সংযম ছিল। পুলিশের কাছে সহজ উপায় ছিল। পুলিশ গুলি চালাতেই পারত। এটাই বাম আমলের সঙ্গে পরিবর্তন। বাম আমলের সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের কথা উল্লেখ করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ ধৈর্য, সংবেদনশীলতা ও সংযমের পরিচয় দেখিয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। তৃণমূল কোনও সময় পুলিশের ওপরে হামলা করেনি বলেও দাবি করেন তিনি।
প্রসঙ্গত মঙ্গলবার বিজেপি নবান্ন অভিযান কর্মসূচি অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনা দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ওপরে হামলায় তাঁর হাত ভেঙে যায়। তাঁর চিকিৎসার জন্য ৮ সদস্যের মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে।
তিনি থাকলে থানায় গুলি করতেন
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে তিনি বলেছেন, তাঁকে স্যালুট জানাচ্ছেন। কেননা পুলিশ সেদিন কিছুই করেনি। তিনি যদি সেই জায়গায় থাকতেন আর তাঁর সামনে যদি পুলিশেগ গাড়ি জ্বলত তাহলে মাথায় গুলি করতেন। তিনি নিজের কপাল দেখিয়ে এই মন্তব্য করেছিলেন। বিজেপি মানেই গুণ্ডামী-দাদাগিরি বলেন তিনি। ২০১৯-এর ১৪ মে কলেজ স্ট্রিটে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার ঘটনারও উল্লেখ করেন তিনি।