বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রচমন্ত্রী বলেছেন, তিনি স্পষ্ট করে জানাতে চান বেশ কিছু লোক হিন্দি-গুজরাতি, হিন্দি-তামিল, হিন্দি-মারাঠি প্রতিযোগী বলে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। তিনি বলেছেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত আমরা ভাষার সহাবস্থান মেনে নেব না, ততক্ষণ আমরা আমাদের নিজেদের ভফাষার দেশ পরিচালনার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারব না। নিজের ভাষায় দেশ পরিচালনা লক্ষ্য হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। অমিত শাহ বলেছেন, হিন্দি এখন কেবল জাতিকেই একত্রিত করছে না, এই ভাষা বিদেশেও ব্যবহার করা হচ্ছে।
হিন্দি সব ভাষার বন্ধু
অমিত শাহ বলেছেন হিন্দি দেশের অন্য কোনও ভাষার প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারে না। তিনি দাবি করেন, হিন্দি দেশের সব ভাষার বন্ধু। তিনি বলেছেন সব ভাষা এবং মাতৃভাষাকে বাঁচিয়ে রাখুন এবং সমৃদ্ধ করুন। সব ভাষার সমৃদ্ধি হলেই হিন্দি সমৃদ্ধ হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। অমিত শাহ বলেছেন, অন্য ভাষার শব্দ গ্রহণ করে কোনও একটি ভাষার গুরুত্ব কমে না, বরং তার পরিধি আরও বাড়ে। তিনি বলেছেন, যদি আমাদেশ ইতিগাস এবং বহু প্রজন্মের সাহিত্য সৃষ্টির হৃদয় বুঝতে হয়, তাহলে রাজভাষা শিখতে হবে এবং মাতৃভাষাগুলিতে শক্তিশালী করতে হবে।
অমিত শাহ বলেছেন, শিশুরা তাদের মাতৃভাষায় পড়াশোনা করে সহজেই হিন্দি শিখতে পারে। তিনি বলেছেন, জাতীয় শিক্ষানীতিতে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত আঞ্চলিকভাষায় শিক্ষা প্রদানের কথা বলা হয়েছে।
রাজভাষা এবং স্থানীয় ভাষা স্বাধীনতা সংগ্রামকে শক্তিশালী করেছিল
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, দেশের ব্রিটিশ শাসকরা বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় সাহিত্যকর্ম নিষিদ্ধ করেছিল। এর মধ্যে হিন্দিতে ২৬৩, উর্দুতে ৫৮, বাংলায় ২৪, তামিলে ১৯, তেগলুতে ১০টি, পঞ্জাবি ও গুরাতিটে ২২টি, মারাঠিতে ১২৩টি, সিন্ধিতে ৯ টি, ওড়িয়ায় ১১ টি এবং কন্নড় ভাষায় ১ টি। এর থেকেই বোঝা যায় রাজভাষা এবং এবং স্থানীয় ভাষাগুলি স্বাধীনতা সংগ্রামকে শক্তিশালী করেছিল।, যে কারণে ব্রিটিশরা সেগুলিকে নিষিদ্ধ করতে বাধ্য হয়েছিল।
আইন করা হবে কর্নাটকে
কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্বাই বলেছেন, কর্নাটক সরকার কন্নড় ভাষার উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি জানিয়েছেন, এর সঙ্গে আপসের কোনও প্রশ্ন নেই। তাঁর সরকার কন্নড়কে বাধ্যতামূলক করতে পৃথক আইন আনবে বলেও জানিয়েছেন। কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কর্নাটক সরকারকে ১৪ সেপ্টেম্বর হিন্দি দিবস উদযাপন না করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে তিনি বলেছিলেন, করদাতাদের অর্থে বলপূর্বক হিন্দি দিবস উদযাপন করা কর্নাটকের নাগরিকদের প্রতি অবিচার।
১৪ সেপ্টেম্বর সরকারি ভাষা দিবস
প্রতিবছর ১৪ সেপ্টেম্বর সরকারি ভাষা দিবস পালন করা হয়। ১৯৪৯ সালের এই দিনে গণপরিষদে হিন্দিকে দেশের সরকারি ভাষা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছিল।