লক্ষ্যে দুই মেদিনীপুরে ও ঝাড়গ্রাম
২০১৯-এর নির্বাচনে হাত থেকে ফসকে গিয়েছিল তিন জেলার ৫টি আসনের মধ্যে দুটি। মাত্র তিনটি আসন দখলে রাখতে পেরেছিল তৃণমূল। পূর্ব মেদিনীপুরের দুটি কাঁথি ও তমলুক, পশ্চিম মেদিনীপুরের একটি আসন ঘাটাল দখল করেছিল তৃণমূল। পশ্চিম মেদিনীপুরের অপর একটি আসন মেদিনীপুরে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ আর ঝাড়গ্রার ম আসনে জেতেন বিজেপির কুনার হেমব্রম।
২০১৯-এ হার মানা দুটি কেন্দ্রে নজর
এবার এই ক্ষেত্রটি তৃণমূলের কাছে প্রেস্টিজ ফাইট। শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার পর অবিভক্ত মেদিনীপুরে এক অন্য গুরুত্ব পেতে শুরু করেছে। শুভেন্দু-গড় পূর্ব মেদিনীপুরের দুটি আসনে তৃণমূল জয়ী হলেও সেখানে অধিকারী পরিবারের দুই সদস্য রয়েছেন সাংসদ। তাঁদেরকে বিট করে নতুন সংসদ সদস্য নির্বাচিত করা যেমন চ্যালেঞ্জের, তেমনই চ্যালেঞ্জের ২০১৯-এ হার মানা দুটি কেন্দ্র পুনরায় দখল করা।
পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে চাইছে তৃণমূল
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খড়গপুর সফরকে ঘিরে তাই সেই রাজনৈতিক অঙ্ক কষতে শুরু করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকেই ভালো ফল করে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস। মাঝে ২০১৮-র পঞ্চায়েত ও ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে একটু বৈপরীত্য হয়েছে। এবার সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে চাইছে তৃণমূল।
শুভেন্দর অধিকারী মাইনাস হওয়ার পর
২০২১-এর আগে শুভেন্দর অধিকারী মাইনাস হলেও তৃণমূল অনেক ভালো ফল করেছে দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে। শুধু প্রেস্টিজ ফাইটে নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে সামান্য ভোটে হারতে হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাও সেই হার নিয়ে বিতর্ক ছিল। এবার সাংগঠনিক বৈঠকে মমতা বন্যোন্পাধ্যায় চাইছেন সমস্ত ফাঁকফোকর ভরাট করে পঞ্চায়েত ও লোকসভায় পুরনো সাফল্য ফিরিয়ে আনতে।
মতানৈক্য দূর করতে চাইছেন মমতা
সম্প্রতি বিভিন্ন ব্লক সংগঠনে রদবদল হয়েছে। বহু ক্ষেত্রেই নানা অভিযোগ-অনুযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। বিশেষ করে নন্দীগ্রামের একাংশ অভিযোগ করেছেন। কাঁথির রদবদল নিয়েও তৃণমূলে ক্ষোভ রয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে তা প্রকট হয়েছে, কিছু ক্ষেত্রে গোপন রয়েছে। এইসব নিয়েই যাবতীয় মতানৈক্য দূর করতে চাইছেন মমতা।
তৃণমূল নেতৃত্বের উদাসীনতা দূরীকরণে
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার নির্বাচনে মেদিনীপুর তথা জঙ্গলমহলকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছেন। তাই তিনি এখান থেকেই অভিযান শুরু করছেন। সকলকে নিয়ে বসে তিনি সমস্ত বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে পূর্ণ উদ্যমে পঞ্চায়েত ও লোকসভা ভোটে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছেন। ঝাড়গ্রাম নিয়েও তৃণমূল নেতৃত্বের মধ্যে উদাসীনতা রয়েছে, তা দূর করতে চাইছেন মমতা।