পুজোর ছুটিতে দারিংবাড়ি
ওড়িশা মানেই পুরী। আমবাঙালির সবচেয়ে পছন্দের জায়গা। পুরী যায়নি এমন বাঙালির দেখা মেলেনা। কিন্তু এই ওড়িশাতেই যে রয়েছে ছোট্ট একটা কাশ্মীর সেটা বড় একটা কেউ জানেন না। ওড়িশার দারিংবাড়ি। যাকে বলা হয় ওড়িশার দারিংবাড়ি। পাহাড়,কুয়াশা, কফি বাগান, রেনফরেস্ট, মনেস্ট্রি সব মিলিয়ে মনকে শান্ত করে দেওয়ার মত একটা জায়গা। এই দারিংবাড়ি পুজোর চারদিনের ট্যুর ডেস্টিনেশন হতেই পারে।
কীভাবে যাবেন দারিংবাড়ি
ছোট্ট ছুটিতে ওড়িশার কাশ্মীর দারিংবাড়ি যেতে খুব বেশি কাঠ খর পোড়াতে হবে না। এক বেলাতেই সেখানে পৌঁছে যাওয়া যায়। সেখানে পৌঁছতে গেলে ট্রেনই সবচেয়ে ভাল। হাওড়া স্টেশন থেকে অনেক ট্রেনই ছাড়ে। ব্রহ্মপুর স্টেশনে নামতে হবে দারিংবাড়ি যেতে। দক্ষিণ ভারতগামী একাধিক ট্রেন এই ব্রহ্মপুর স্টেশন হয়ে যায়। চিলকা পেরিয়ে যেতে হয় ব্রহ্মপুর। ট্রেন থেকে নেমেই বোঝা যাবে আবহাওয়া বদল হতে শুরু করবে। ব্রহ্মপুর থেকে দারিংবাড়ির দূরত্ব ১২০ কিলোমিটার।
কী কী রয়েছে দেখার
ওড়িশার দক্ষিণপূর্ব দিকে রয়েছে দারিংবাড়ি। ব্রহ্মপুর থেেক দারিংবাড়ি যেতে পথে দেখে নিতে পারেন গোপালপুর। মৎস্যজীবীদের গ্রাম এই গোপালপুর। একটা সময় ব্রিটিশদের বন্দর ছিল এই গোপালপুর। সেখানে নির্জন সমুদ্র সৈকত রয়েছে। বেশ কিছুক্ষণ সেখানে কাটিয়ে দেওয়া যায়। সমুদ্র সৈকতে রয়েছে একটি লাইট হাউস। সমুদ্র সৈকতের টান পেরিয়ে বেড়িয়ে আসতে পারেন সতীপীঠ থেকে। ব্রহ্মপুর শহর থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে কুমারী পাহারের চূড়ায় রয়েছে সেই সতীপীঠ। রোপওয়েতে সেখানে যাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
ওড়িশার কাশ্মীর দরিংবাড়ি
ওড়িশার কাশ্মীর বলা হয় দারিংবাড়িকে। ওড়িশার যে আবহাওয়া তার একেবারে অন্যরকম আবহাওয়া এই দারিংবাড়িতে। পাহাড়ের গায়ে মেঘ আর কুয়াশার লুকোচুরি। গা ছুঁয়ে যাবে মেঘ। দারিংবাড়ি বেড়ানোর সবচেয়ে ভাল সময় অক্টোবর নভেম্বর মাস। ডিসেম্বর মাসে প্রবল শীত পড়ে। মাইনাসে পৌঁছে যায় তাপমাত্রা। কাশ্মীরের মতই পাইনের জঙ্গল রয়েছে এই দারিংবাড়িতে। রয়েছে কফি বাগান। ওড়িশা সরকারের বনদফতর তৈরি করেছে এই কফি বাগান।