দেশে ক্রমেই বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতি
কেন্দ্র সরকারের পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের শুরু থেকে খুচরো ব্যবসার ক্ষেত্রে মুদ্রাস্ফীতি ৭ শতাংশের বেশি ছিল। চলতি বছরের জুন মাসে খুচরো ব্যবসায় মুদ্রাস্ফীতি ৭.৭৫ শতাংশ। গত আট মাসে খুচরো ব্যাবসায় জুন মাসে মুদ্রাস্ফীতি সর্বোচ্চ ছিল। তবে জ্বালানির দাম সেভাবে না বাড়ার কারণে, খাদ্যপণ্যের দামের সুলভ মূল্যের জেরে মুদ্রাস্ফীতি জুলাই মাসে মুদ্রাস্ফীতি কিছুটা নেমে যায়। ২০২২ সালে জুন মাসে যেখানে ক্ষুদ্র ব্যবসার ক্ষেত্রে মুদ্রাস্ফীতি ৭.৭৫ ছিল, সেখানে জুলাই মাসে ৬.৭১ শতাংশ যথেষ্ঠ স্বস্তি এনেছিল। অগাস্টে নতুন করে খুচরো ব্যবসায় মুদ্রাস্ফীতি বাড়ায় নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
আরবিআইয়ের আশঙ্কা
আগামী কয়েকমাসে মুদ্রাস্ফীতি বাড়ার যে প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে, তা অগাস্টেই আরবিআইয়ের তরফে জানিয়ে দেয়। আগস্টে আরবিআইয়ের মুদ্রানীতি কমিটি (এমপিসি)-এর তরফে বলা হয়েছে, আগামী কয়েক মাসে মুদ্রাস্ফীতি বাড়তে পারে। পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির ওপর মুদ্রাস্ফীতি অনেকাংশে দায়ী। সম্প্রতি ধাতু ও খাবারের দাম বেড়েছে। আন্তর্জাতিক অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়েছে। তবে অস্থির সময়ের মধ্যে যাচ্ছে। যার ফলে মুদ্রাস্ফীতি বাড়ার একটা সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও কেন্দ্র সরকার মনে করছে, পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।
মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা
দেশে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চার বছরে প্রথমবারের জন্য রেপো রেট বাড়িয়ে দেয়। আরবিআই ৪০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়েছিল। এরপর জুন মাসে আবার ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ায়। চলতি মাসে বেসিস পয়েন্ট আরও ৫০ পয়েন্ট বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে রেপো রেট ৫.৪০ শতাংশে আনা সম্ভব হয়েছে। এই রেপো রেটের হারেই আরবিআই বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলো ঋণ দেয়।
মুদ্রাস্ফীতির কারণ
দেশের অভ্যন্তরীন বাজারে মুদ্রাস্ফীতি আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও অর্থনীতির ওপর অনেকাংশে নির্ভর করে। বিশ্ব জুড়ে একটা অর্থনৈতিক মন্দার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে বিশ্বজুড়ে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যায়। ব্রিটেন, আমেরিকা সহ পশ্চিমের একাধিক দেশে মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি অর্থনীতিবিদ একাধিক পশ্চিমি দেশে আর্থিক সঙ্কটের আশঙ্কা করছেন। রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধের জেরে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়তে থাকে। যার জেরে খাদ্য সঙ্কটের তীব্র সম্ভাবনা দেখা দেয়। যার প্রভাব দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে পড়ে। মুদ্রাস্ফীতি দেখা যায়।