গাড়ি থেকে নেমে দৌড় চিকিৎসকের
গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজির সার্জন গোবিন্দ নন্দকুমার সারজাপুর-মরাথাহল্লির মধ্যে ট্রাফিকে আটকে পড়েছিলেন। তাঁর গন্তব্য ছিল মণিপাল হাসপাতাল। ল্যাপারোস্কোপিক গলব্লাডার সার্জারির করার কথা ছিল ৩০ অগাস্ট। কিন্তু রাস্তায় ট্রাফিকে গাড়ি আটকে পড়ে। সেই সময় তিনি গাড়ি থেকে নেমে যান এবং দৌড়নোর সিদ্ধান্ত নেন। ওই চিকিৎসক সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, সাধারণভাবে যে দূরত্ব পেরোতে ১০ মিনিট সময় লাগে, সেখানে দেরি হওয়ায় তিনি ঘাবড়ে গিয়েছিলেন।
|
তিন কিমি দৌড়ে হাসপাতালে চিকিৎসক
সার্জন গোবিন্দ নন্দকুমার বলেছেন, হাসপাতাল সেই সময় তিন কিমি দূরে। সেই সময় তিনি দৌড়তে শুরু করেন। তাঁকে ক্যানিংহাম রোড থেকে সারজাপুরের মণিপাল হাসপাতালে যেতে হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় প্রবল বৃষ্টি আর জল জমে যাওয়ার কারণে শহরের বিভিন্ন জায়গায় যানজট তৈরি হয়। তার মধ্যে তিনিও পড়ে গিয়েছিলেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, গাড়িতে আলাদা করে চালক থাকায় তিনি তা পিছনে রেখে এসেছিলেন। আর দৌড়তে পেরেছিলেন, কারণ তিনি নিয়মিত জিম করেন। তিন কিমি দৌড়ে হাসপাতালে যাওয়ার পরেও অস্ত্রোপচারের জন্য সময় ছিল বলে জানিয়েছেন ওই চিকিৎসক।
রোগীদের অপেক্ষায় রাখতে চান না
কেন দৌড়, সেই প্রশ্নের উত্তের চিকিৎসক গোবিন্দ নন্দকুমার বলেছেন, তিনি রোগীদের অপেক্ষায় রাখতে চান না। আর ট্রাফিক পরিষ্কার হওয়ার অপেক্ষায় থেকে তিনি সময় নষ্ট করতে চাননি। আর অস্ত্রোপচার না হলে রোগীদের খাবার খেতে দেওয়া হয় না। সেই কারণেই তিনি বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে চাননি বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দেখা যায় রোগীর পরিবার হাসপাতালে উদ্বিগ্ন হয়ে চিকিৎসকের জন্য অপেক্ষা করছেন। সেই অবস্থা তৈরি হতে দিতে চাননি তিনি। সেদিনের অবস্থা প্রসঙ্গে চিকিৎসক গোবিন্দ নন্দকুমার বলেছেন, এমন যানজট ছিল যে সেখানে একটিও অ্যাম্বুলেন্স যাোয়ার জায়গা ছিল না।
পায়ে হেঁটে হাসপাতালে গিয়েছেন আগে
তবে এবারই প্রথম এই ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হননি তিনি। বেঙ্গালুরুর মধ্যে অন্য জায়গাতেও বেশ কয়েকবার পায়ে হেঁটে তিনি গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তবে হাসপাতালে কর্মী ও সেখানকার পরিকাঠামো ভাল থাকায় রোগীর যত্নের ব্যাপারে তিনি উদ্বিগ্ন ছিলেন না বলে জানিয়েছেন। তবে ছোট হাসপাতালের ক্ষেত্রে এমন পরিস্থিতি নাও হতে পারে বলে জানিয়েছেন গোবিন্দ নন্দকুমার।