প্রার্থীদের নাম আগেই ঘোষণার পরিকল্পনা
ডিসেম্বরে গুজরাত বিধানসভার নির্বাচন। তার অনেক আগেই আপ কয়েকটি আসনে তাদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি তাদের সাংসদ এবং দলের সিনিয়র নেতাদের বিভিন্ন আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম সুপারিশ করতে বলেছে বলে জানা গিয়েছে।
সম্ভাব্য বিদ্রোহীদের তালিকা তৈরির নির্দেশ
সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিধানসভা নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা তৈরি করা ছাড়াও, বিজেপির তরফে এমন আরও একটি তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে, যেখানে সম্ভাব্য এই প্রার্থীদের কাছাকাছি রয়েছেন, কিন্তু টিকিট না পাওয়ার কথা জানতে পেরেই যাঁরা প্ররোচনা দিতে পারেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি নেতা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, যাঁরা টিকিট পাবেন না তাঁদের কেউ কেউ দলের ক্ষতি করতে পারেন বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
বিজেপি নেতাদের ব্যাখ্যা
প্রকাশিত খবর অনুযায়ী বিজেপির তরফে বলা হয়েছে, প্রত্যেকটি নির্বাচনের বিভিন্ন ইস্যু থাকে। এর মধ্যেই যাঁদের টিকিট প্রত্যাখ্যান করা হয়, তাঁরা শেষ পর্যন্ত বিক্ষোভ দেখিয়ে বিরোধী শিবিরে যোগ দেন। বিরোধী শিবিরে কংগ্রেস এবং আপ এই ধরনের অনেকের জন্য অপেক্ষা করে থাকবে। সেই কারণেই এই ধরনের নেতাদের একটি তালিকা আলাদা করে তৈরি করতে বলা হয়েছে। যাতে বিদ্রোহের পরিস্থিতি তৈরি হলে সময় নষ্ট না করে তাড়াতাড়ি সেইসব নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়।
২০১৭-তে বিজেপি ৯৯-এ আটকে গিয়েছিল
গুজরাতে বিধানসভার আসন সংখ্যা ১৮২। এবছরের শেষের দিকে সেখানে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। ১৯৯৫ সাল থেকে গুজরাতে টানা ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। এর মধ্যে সব থেকে বেশিদিন সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী থেকেছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গত ২০১৭ সালে ৯৯ টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। বলা ভাল ৯৯-এ আটকে গিয়েছিল গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে কংগ্রেস পেয়েছিল ৭৭ টি আসন। এবার সেখানে যুক্ত হয়েছে আপ। তারাও ইতিমধ্যেই বেশ কিছু লোভনীয় প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে। তাদের আহমেদাবাদ অফিসে পুলিশি তল্লাশির অভিযোগও করেছে আপ। পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। ফলে আগে থেকে সম্ভাব্য বাধা বিপত্তি দূর করতে চাইছে সেখানকার গেরুয়া শিবির।