একের পর এক তল্লাশি, কয়েক লক্ষ কোটি উদ্ধার, সেই টাকা কোথায় পাঠাচ্ছে ইডি?

একের পর এক তল্লাশি। দফায় দফায় কোটি কোটি টাকা উদ্ধার। সবই তো হল কিন্তু একের পর এক ইডি অভিযানে উদ্ধার টাকা গুলি যাচ্ছ কোথায়। অনেকেই কৌতুহলি হয়ে উঠেছেন। অনেকেই আবার বলছেন সবই তো কেন্দ্রের ঘরে যাচ্ছে। লোকসভা ভোটের জন্য টাকা তোলা হচ্ছে রকমই একাধিক কথা শোনা যাচ্ছে। কিন্তু আসল সত্যিটা কী। কোটি কোটি টাকা কোথায় রাখছে ইডি। কী করা হচ্ছে এই বিপুল টাকা িনয়ে।

২৭ গুণ বেড়েছে ইডি অভিযান

পশ্চিমঙ্গে ইডি-সিবিআই তৎপরতা এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে ইডির অভিযান নিয়ে কৌতুহল দেখা দিয়েছে জনমানসে। পরিসংখ্যান বলছে ২০১৪ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ২৭ গুণ বেড়েছে ইডি অভিযান। ২০১৪ সালেই কেন্দ্রে সরকার গঠন করে বিজেপি। পরিসংখ্যান বলছে ২০১৪ থেকে ২০২২সালের মধ্যে ৩০১০টি অভিযান চালিয়েছে ইডি। ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত মাত্র ১১২টি অভিযান চালিয়েছিল ইডি। অর্থাৎ ২৭ গুণ বেড়েছে অভিযান।

কত কোটি টাকা উদ্ধার

২০২২ সালের ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত একাধিক অভিযান চালিয়ে ইডির ঘরে জমা পড়েছে ১ লক্ষ কোটি টাকা। তারমধ্যে ৫৭০০০ কোটি টাকা ব্যাঙ্ক জালিয়াতি আর চিটফান্ড কেলেঙ্কারির তদন্তে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করেছে। ইডির অফিসারদের দাবি ৫ হাজারের বেশি জালিয়াতির অভিযোগে তাঁরা অভিযান চালিয়েছে ঠিকই কিন্তু মাত্র ২৫ জন এখনও পর্যন্ত দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। এদিকে গত তিন মাসে পশ্চিমবঙ্গে কয়েক কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। গার্ডেনরিচে ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে ১৭ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে।

রেড থেকে উদ্ধার টাকা কোথায় যায়

ইডি অফিসাররা একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে যে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করেছে েসই বিপুল পরিমান টাকা কোথায় রাখে তারা। এই িনয়ে এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এখানে একটা বিষয় নজর করতেই হবে যখনই ইডি বিপুল পরিমান টাকা উদ্ধার করে। সেই টাকার ছবি তোলার জন্য E আর ডি লিখে থাকে টাকা গুলি দিয়েছে। যেকোনও জায়গায় তল্লাশি চালানোর পর যে বিপুল টাকা উদ্ধার হয় সেগুলি প্রথমে স্থানীয় ইডির দফতরে জমা করা হয়। তার পর সেগুলি দিয়ে পঞ্চনামা তৈরি করা হয়। অর্থাৎ কোথায়কত টাকা উদ্ধার হল তার নথি তৈরি করা হয়। তার পরে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বা স্টেট ব্যাঙ্কে ইডির নামে রাখা অ্যাকাউন্টে সেগুলি জমা পড়ে যায়। টাকা গয়না ছাড়া জমির কাগজ পত্র অন্যান্য সম্পত্তির কাগজ সিল বন্ধ খামে রেখে দেওয়া হয় আদালতে পেশের উপকরণ হিসেবে। অপরাধ প্রমাণিত হয়ে অভিযুক্ত দোষীসাব্যস্ত হলে সেই মামলায় উদ্ধার হওয়া টাকা চলে যায় সরকারের ঘরে। জনকল্যাণে সেই টাকা খরচ করা হয়।

ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ক্ষেত্রে কী হয়

ইডি তল্লাশিতে যদি কোনও ব্যাঙ্ক জালিয়াতি ঘটনার ক্ষেত্রে আবার অন্য নিয়ম। যদি ব্যাঙ্ক জালিয়ািত মামলায় ইডি অভিযানে টাকা উদ্ধার হয় সেক্ষেত্রে যে ব্যাঙ্ক থেকে দেনা করে জালিয়াতি করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া টাকা সেই ব্যাঙ্ককে দিয়ে দেওয়া হয়। আজ একই মামলায় জমি বাড়ি থাকলে সেই সব জমি বাড়ি বিক্রিকরে সেই টাকা ব্যাঙ্ককে দিয়ে দেওয়া হয়। যেমনটা হচ্ছে িনরব মোদী, মেহুল চোকসি, বিজয় মালিয়াদের ক্ষেত্রে।

সম্পত্তি ফেরত পাওয়ার সুযোগ রয়েছে

ইডির তল্লাশি ক্ষেত্রে কয়েকটি ফাঁক রয়েছে। যেমন পিএমএলএ আইনে কোনও মামলার তল্লাশিতে যদি টাকা বা সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ইডি তাহলে ১৮০ দিন অর্থাৎ ৬ মাসের মধ্যে ইডিকে প্রমাণ করতে হবে সেই অভিযান সঠিক ছিল তাঁদের অর্থাৎ জালিয়ািতর অভিযোগ সঠিক। নইলে আপনা আপনি বাজেয়াপ্ত হওয়া টাকা এবংসম্পত্তি ইডির এক্তিয়ার থেকে বেরিয়ে যাবে। আর এই ৬ মাস উদ্ধার হওয়া টাকা এবং সম্পত্তি বন্ড হিসেবে থাকবে ইডির দফতরে।

Atal Pension Yojana-নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত! শনিবার থেকেই এর সুবিধা কারা পাবেন না জানুন Atal Pension Yojana-নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত! শনিবার থেকেই এর সুবিধা কারা পাবেন না জানুন

More ENFORCEMENT DIRECTORATE News  

Read more about:
English summary
What ED have done with Huge money recovered from many places
Story first published: Sunday, September 11, 2022, 18:17 [IST]