সারা পৃথিবী জুড়ে যখন কোভিড মহামারির কারণে মৃত্যু ভয়ে দিন কাটাচ্ছে গোটা বিশ্ব, যখন এর থেকে রক্ষা পাওয়ার টিকার সন্ধানে দিন-রাত এক করছে বিশ্বের তাবড় তাবড় বিজ্ঞানীরা, তখন নোভাক জকোভিচক জানিয়ে দিয়েছিলেন কোনও টিকাই তিনি নেবেন না, তাতে তাঁকে যতই সমস্যায় পড়তে হোক।
এই অনমনীয় মোনভাবের জন্য অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলতে পারেননি নোভাক এবং চলতি ইউএস ওপেনের খেলতে পারছেন না তিনি। বছরের শুরুতে আইনি লড়াইয়ের পরে ক্যাঙ্গারুর দেশ থেকে কার্যত বিতাড়িত করা হয়েছিল নোভাককে। অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন দফতর কাউকে ডিপোর্ট করে দিলে তিন বছর সেই ব্যক্তি আর অস্ট্রেলিয়ায় পা রাখতে পারে না। ফলে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে নোভাককে দেখা যাবে কি না তাই নিয়েই তৈরি হয়েছিল সংশয়। অবশেষে যা কাটতে চলেছে। এই নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও এবং করোনা টিকা না নেওয়া হলেও আগামী বছর মরসুমের প্রথম গ্র্যান্ডস্ল্যামে খেলতে দেখা যাবে সার্বিয়ার টেনিস তারকাকে।
চলতি বছরের মে মাসে অস্ট্রেলিয়াতে ক্ষমতায় এসেছে নয়া সরকার। নতুন সরকার নয়া অভিবাসন নীতিও চালু করেছে। নোভাকের উপর অস্ট্রেলিয়ায় যে তিন বছরের নিষেধাজ্ঞা ছিল তা তারা প্রত্যাহার করে নেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নয়া অভিবাসন মন্ত্রী অ্যান্ড্রু জাইলস স্বয়ং এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে জকোভিচকে অজি সরকারের কাছে আবেদন করতে হবে এবং এর পর তা নতুন অজি সরকার তুলে নেবে বলে জানানো হয়েছে।
টেনিস সার্কিটের অন্যতম নক্ষত্র সার্বিয়ার নোভাক জকোভিচ। বেলগ্রাডে জন্মানো ৩৫ বছর বয়সী টেনিস তারকার ঝুলিতে রয়েছে ২১টি গ্রান্ডস্ল্যাম। টোকিও অলিম্পিকে অল্পের জন্য সোনা হাতছাড়া করেছিলেন নোভাক জকোভিচ।