স্কুল সার্ভিস দুর্নীতিতে প্রায় ১০০ কোটির দুর্নীতি হয়েছে বলে আশঙ্কা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার! যদিও এই মামলার তদন্তে নেমে পার্থ ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতার বাড়ি থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকার সম্পত্তি পেয়েছে ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আরও সম্পত্তি রয়েছে বলে মনে করছে তদন্তকারী সংস্থা।
আর তাই জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বেনামি আরও সম্পত্তির হদিস পেতে মরিয়া তদন্তকারী সংস্থা। আর তাই গোয়েন্দাদের নজরে একাধিক পার্থ ঘনিষ্ঠ। আর সেই তদন্তে নেমেই বেশ কিছু জমির হদিশ পেয়েছে সিবিআই। যা কিনা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অধ্যাপক মোনালিসা দাসের দাদা বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। নদিয়ার রানাঘাটে বেশ কয়েকটি জমি ওই অধ্যাপিকার দাদার নামে রয়েছে বলে সিবিআই জানতে পেরেছে। এমনটাই বাংলা এক সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়েছে বলেই খবর।
তারা জানাচ্ছে শনিবার সিবিআইয়ের বেশ কয়েকটি টিম রানাঘাট-২ ব্লকের ভূমিরাজস্ব দফতরে হানা দেয়। বেশ কিছু নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। আর তা চালাতে গিয়ে রানাঘাট ২ ব্লকের পাঁচটি জায়গা মোনালিসা দাসের দাদার নামে অন্তত পাঁচটি জমির সন্ধান সিবিআই আধিকারিকরা পেয়েছেন বলেই খবর।
আর সেই জমিগুলিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কোনও বিনিয়োগ আছে? সেই তিথ্য খুঁজে বার করতে চাইছেন সিবিআই আধিকারিকরা। আর এজন্য রানাঘাটে রেজিস্ট্রি অফিসেও কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা গিয়েছিলেন বলে ওই সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়েছে। এমনকি সেখান থেকে বেশ কিছু নথি-দলিল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলেও খবর।
রেজিস্ট্রি অফিসের পাশাপাশি রানাঘাট এডিএসআর অফিসেও তদন্তকারীরা তল্লাশি চালিয়েছেন বলে খবর। সেখান থেকেও কমিউপিউটারের হার্ড ডিস্ক সহ বেশ কিছু জিনিস বাজেয়াপ্ত তদন্তকারীরা করেছেন বলেই খবর। সমস্ত কিছু এই মুহূর্তে পরীক্ষা করে দেখা হবে বলেই সিবিআই সূত্রে খবর।
যদিও এই বিষয়ে ওই সংবাদমাধ্যমকে কিছু জানেন না বলেই জানিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অধ্যাপক মোনালিসা দাসের দাদা। এমনকি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কেউ যোগাযোগ করেনি বলেও জানিয়েছেন তিনি। বলে এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে স্থানীয় এলাকাতে একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলে দাবি ওই সংবাদমাধ্যমে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ এবং নাম ভাঙিয়ে একাধিক জমি জবরদখলের অভিযোগ রয়েছে। যদিও এই বিষয় সম্পূর্ণ কিছু অস্বীকার করেছেন ওই ব্যক্তি।
বলে রাখা প্রয়োজন, পার্থবাবু ধরার প্রার পরেই সামনে আসে মোনালিসার নাম। যদিও তাঁর সঙ্গে অভিভাবকের সম্পর্ক বলেই জানিয়েছিলেন ওই অধ্যাপিকা।