দলীপ ট্রফির দুটি কোয়ার্টার ফাইনালেই প্রথম ইনিংসের লিড সেমিফাইনালে পৌঁছে দিল পশ্চিমাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলকে। ছিটকে গেল মনোজ তিওয়ারির নেতৃত্বাধীন পূর্বাঞ্চল। বাংলার দুই ক্রিকেটার শাহবাজ আহমেদ ও অভিষেক পোড়েল নজর কাড়লেন। তবে ততক্ষণে পূর্বাঞ্চলের বিদায় নিশ্চিতই হয়ে গিয়েছে। ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে দলীপ ট্রফির দুটি সেমিফাইনাল।
চেন্নাইয়ে অজিঙ্ক রাহানের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমাঞ্চল প্রথম ইনিংসে রানের পাহাড় গড়ে শেষ চার কার্যত নিশ্চিত করে ফেলেছিল। বাকি ছিল খেলায় যবনিকা পড়া। পৃথ্বী শ-র ১১৩, যশস্বী জয়সওয়ালের ২২৮ ও অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানের অপরাজিত ২০৭ রানের জবাবে ২ উইকেটে ৫৯০ রান তুলেছিল পশ্চিমাঞ্চল। জবাবে গতকালই ২৩৫ রানে শেষ হয় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ইনিংস। দ্বিতীয় ইনিংসে পৃথ্বী, রাহানে, যশস্বীরা ব্যাট করতে না নেমে বাকিদের খেলার সুযোগ করে দেন। অতীত শেঠ ১০১ বলে ১০২ রানে অপরাজিত থাকেন। ১১৫ বলে ৯৭ রান করেন শামস মুলানি। দ্বিতীয় ইনিংসে পশ্চিমাঞ্চল ৫ উইকেটে ২৬৮ রান তোলার পরই খেলায় যবনিকাপাত হয়।
অপর কোয়ার্টার ফাইনালে পুদুচেরীতে পূর্বাঞ্চলের প্রথম ইনিংসে ৩৯৭ রানের জবাবে ৫৪৫ রানে শেষ হয় উত্তরাঞ্চলের ইনিংস। যশ ঢুলের ১৯৩ ও ধ্রুব শোরের রানের পাশাপাশি অধিনায়ক মনদীপ সিং ৬৩ ও হিমাংশু রাণা ৮১ রান করেন। গতকাল চোটের কারণে বেশিক্ষণ বোলিং করতে না পারলেও আজ বল হাতে দলের বোলারদের মধ্যে সর্বাধিক উইকেট দখল করেন বাংলার শাহবাজ আহমেদ। ৮৬ রানের বিনিময়ে তিনি পাঁচটি উইকেট নিয়েছেন। শাহবাজ নাদিম নেন ২ উইকেট। মণিশঙ্কর মুরাসিং, আকাশ দীপ ও রিয়ান পরাগ একটি করে উইকেট দখল করেন। জবাবে খেলতে নেমে খেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত দ্বিতীয় ইনিংসে পূর্বাঞ্চল করে ২১ ওভারে ৩ উইকেটে ১০২ রান। মনোজ তিওয়ারি ওপেন করতে নেমে ১০ রানে আউট হন। প্রথম ইনিংসে শতরানকারী বিরাট সিং তিনে নেমে করেন সাত। রিয়ান পরাগ ১৩ রানে আউট হন। ৫৫ বলে ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন অভিষেক পোড়েল, ৩৯ বলে ২১ রানে অপরাজিত থাকেন অনুষ্টুপ মজুমদার।
১৫ সেপ্টেম্বর থেকে সেমিফাইনাল পর্বের খেলা শুরু হবে। ইতিমধ্যেই সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চল। ২১ সেপ্টেম্বর থেকে দলীপ ট্রফি ফাইনাল শুরু হবে। সেমিফাইনালের খেলাগুলি হবে কোয়েম্বাটুর ও সালেমে। ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে কোয়েম্বাটুরে।