শনিবার সেন্ট জেমস প্রাসাদে একটি ঐতিহাসিক অনু্ষ্ঠানের মাধ্যমে চার্লস তৃতীয়কে রাজা হিসেবে ঘোষণা করা হল। রানি এলিজাবেথ দ্বিতীয়ের মৃত্যুর পরেই চার্লস তৃতীয় নিজে থেকেই ব্রিটেনের রাজা হয়ে যান। শনিবার আনুষ্ঠানিক বিবৃতির মাধ্যমে চার্লস তৃতীয়ের অবস্থান আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়।
লন্ডনের সেন্ট জেমস রাজ প্রাসাদের এই অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে দেশের প্রবীণ রাজনীতিবিদরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও একাধিক কাউন্সিল উপস্থিত উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা মূলত রাজাকে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। রাজা চালর্স তৃতীয়ের সঙ্গে রানি হিসেবে স্ত্রী ক্যামিলা ও জ্যেষ্ঠ পুত্র প্রিন্স উইলিয়াম উপস্থিত ছিলেন। রাজা চার্লস তৃতীয় প্রিন্স ওয়েলসে উপাধিকে ভূষিত হবেন। শুক্রবার ব্রিটেনের নতুন রাজা চার্লস তৃতীয় টেলিভিশনে বক্তব্য রাখার সময় রানির সেবার ধর্মকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দেন।
রানি এলিজাবেথ দ্বিতীয়কে শ্রদ্ধা জানতে গিয়ে নতুন রাজা চার্লস তৃতীয় বলেন, 'আমার প্রিয় মায়ের শেষ যাত্রায় অংশ নেওয়ার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। আমার মা এবার বাবার সঙ্গে স্বর্গীয় লোকে দেখা করবেন। আমাদের পরিবারের প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা দেখানোর জন্য ধন্যবাদ। দেশের স্বার্থে, জাতির স্বার্থে রানি সেবার ব্রত নিয়েছিলেন।' তিনি বলেন, দেশ, রাজ্য, কমনওয়েলথ ও বিশ্বের অগণিত মানুষ রানির অভাব অনুভব করবেন। রাজা চার্লস তৃতীয় শনিবার রাতের দিকে ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের সঙ্গে দেখা করবেন। রানির মৃত্যুর পর শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর নাতি হ্যারি উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দুপুরে রানি এলিজাবেথ দ্বিতীয়ের মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার বাকিংহাম প্যালেস থেকে রানির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে দেশ বিদেশ থেকে আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রনেতারা শোক প্রস্তাব জ্ঞাপন করেন। ব্রিটেনের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ফুল দিয়ে রানি এলিজাবেথ দ্বিতীয়কে শ্রদ্ধা জানান। বাকিংহাম প্রাসাদে ফুল দিতে ও রানির বাসভবনের ছবি তুলতে জড়ো হন হাজার হাজার মানুষ। সে সময় ব্রিটেনের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত ছিল। বাকিংহাম প্রাসাদের দরজাগুলোতে রানির মৃত্যুর বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। বালমোরাল ক্যাসেলে বৃহস্পতিবার দুপুরে শান্তিপূর্ণভাবে মৃত্যু হয় রানির। আবহাওয়া খারাপ থাকলেও রানিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ব্রিটেনের মানুষরা উপস্থিত হতে শুরু করেন। রানির বিশেষ পছন্দ ছিল উইন্ডসোর প্রাসাদ। সেখানেও স্থানীয়রা গেটের কাছে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান।