শনিবার উত্তরপ্রদেশের কৌশাম্বীর পুলিশ জানিয়েছে, ব্লেড দিয়ে জিভ কেটে দেবতাকে উৎসর্গ করলেন এক ব্যক্তি। কৌশাম্বীর বাসিন্দা সম্পাত নামের ওই ব্যক্তিকে বর্তমানে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসক সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তির অবস্থা গুরুতর। জানা গিয়েছে, স্ত্রী বান্নোর সঙ্গে ৩৭ বছরের সম্পাত শীতলা মন্দিরে এসেছিলেন। গঙ্গায় স্নান সেরে তাঁরা মন্দিরে পুজো দেন। আচমকাই তিনি এই কাণ্ড ঘটান।
কারহা ধাম থানার স্টেশন হাউস অফিসার অভিলাষ তিওয়ারি জানিয়েছেন, সম্পাত ও তাঁর স্ত্রী প্রথমে মন্দির পরিদর্শন করেন। তারপর আচমকাই সম্পাত ব্লেড দিয়ে নিজের জিভ কাটেন। স্থানীয় ভক্তরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। এরপর তিনি মন্দিরের দরজার সামনে নিজের কাটা জিভ রাখেন। পুলিশি জেরায় সম্পাতের স্ত্রী বান্নো জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে এই ধরনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। কিন্তু তা সম্পাত বাস্তবায়িত করতে পারেন, বান্নো কল্পনাও করতে পারেননি।
অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউয়ে হনুমান মন্দির ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে শুরু করেছে। অভিযুক্ত তৌসিককে গ্রেফতার করেছে। অন্যদিকে, শনিবার সকাল থেকেই একাধিক হিন্দু সংগঠনগুলো বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। গঙ্গাজল দিয়ে মন্দির ধোয়া হয়। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, বজরং দল, অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার সদস্যরা মন্দির প্রাঙ্গনে নীরব বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
অভিযুক্ত তৌসিফের কাছ থেকে জাল করা আইজডিকার্ড পাওয়া গিয়েছে। কীভাবে তার কাছে এই পরিচয়পত্রগুলো এসেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এসিপি আইপি সিং জানিয়েছেন, যুবকের কাছ থেকে পাওয়া আইডি কার্ডটি একজন হিন্দু ব্যক্তির। এই জাল ভুয়ো পরিচয়পত্রটি তৌসিফের পকেটে ছিল। কেউ জিজ্ঞাসা করলে তিনি ওই পরিচয় দিতেন বলে পুলিশ অনুমান করছে।
লখনউ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনার নেপথ্যে কোনও ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। ঘটনায় আরও তদন্তের প্রয়োজ বলে পুলিশ জানিয়েছে। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে রাখতে চাইছে। অভিযুক্ত তৌফিকের ভাই জানিয়েছে, তাঁর দাদা একজন মোটর মেকানিক। তিনি বন্ধু ইমরানের সঙ্গে থাকতেন। কীভাবে তৌফিক ওই মন্দির চত্বরে গেলেন, তা পরিবার বুঝতে পারছে না। তবে তিনি কাজ করতে যাচ্ছিলেন বলেই বাড়ি থেকে বেড়িয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, এভিযুক্ত তৌফিক আমিনাবাদের একটি মোটর মেকানিক কারখানায় কাজ করতেন। তৌফিকের ভাই বলেন, তাঁরা সীতাপুরের বাসিন্দা। তবে গত এক বছর ধরে তাঁরা লখনউয়ে বাস করছেন। তিনি বলেন, দাদা নির্দোষ। পুলিশ আসল অপরাধীকে না ধরে, তাঁরা দাদাকে ধরেছেন।