কংগ্রেস 'ভারত জোড়ো' কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে কংগ্রেসের নেতারা কন্যাকুমারী থেকে জম্মু ও কাশ্মীর পদযাত্রা করবেন। শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এই প্রসঙ্গে ট্যুইট করে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী দেশের বেকারত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, দেশের তরুণ সমাজ সুরক্ষিত নয়। সেক্ষেত্রে দেশ কীভাবে সুরক্ষিত থাকবে।
শনিবার একটি ছবি টুইটারে পোস্ট করেন। সেখানে রাহুল গান্ধীর পাশে একাধিক যুবককে সাদা রঙের টিশার্ট পরতে দেখা যায়। সেখানে লেখা রয়েছে, 'আমি চাকরির জন্য হাঁটছি।' ছবিটির ক্যাপশনে রাহুল গান্ধী লেখেন, 'আমাদের দেশের তরুণদের মধ্যে ৪২ শতাংশ বেকার। দেশের তরুণ সমাজ নিরাপদে না থাকলে, আমরা কীভাবে নিরাপদে থাকতে পারি? আমরা তাঁদের জন্য হাঁটছি। আমরা চাকরির জন্য হাঁটছি।'
বৃহস্পতিবার কন্যাকুমারী থেকে কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু হয়েছে। ক্রমশ এই যাত্রা উত্তরের দিকে এগোবে। কংগ্রেসের এই ভারত জড়ো যাত্রার শীর্ষভাগে রয়েছে দলের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। এই ভারত জোড়ো যাত্রা সম্পর্কে রাহুল গান্ধী বলেন, 'এই যাত্রার আলাদা একটা রাজনৈতিক তাৎপর্য রয়েছে। কংগ্রেসের এই যাত্রার মাধ্যমে আমি আমাদের দেশ সম্পর্কে আরও নতুন অনেক কিছু জানতে পারব। শিখতে পারব। আগামী দুই তিন মাস পরে আমি আমাদের দেশকে আরও গভীরে জানতে পারব বলে আশা করছি।' পাশাপাশি রাহুল গান্ধী দাবি করেছেন, বিজেপি দেশের অনেক ক্ষতের সৃষ্টি করেছে। সেই ক্ষত পূরণের লক্ষ্যেই এই যাত্রা শুরু হয়েছে। পাশাপাশি তিনি বলেন, ভারতে দুই ধরনের চিন্তাধারা রয়েছে। কংগ্রেস তার নিজস্ব চিন্তাধারা নীতির জন্য লড়াই করছে। ভবিষ্যতেও লড়াই করে যাবে।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই কংগ্রেস এই 'ভারত জোড়ো কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। যদিও কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, কর্মসূচির সঙ্গে লোকসভা নির্বাচনের কোনও যোগ নেই। দেশকে এক সূত্রে গাঁথতেই এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ১৫০ দিনের এই কর্মসূচিতে ৩৫৭০ কিলোমিটার অতিক্রম করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এই যাত্রায় রাহুল গান্ধী সহ কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতারা অংশগ্রহণ করেছেন। তবে যাত্রাপথে তাঁরা কোনও হোটেলে থাকবেন না। তাঁদের জন্য ৬০টি কন্টেনারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে এসি, শৌচালয় সহ একাধিক সুবিধা রয়েছে। কন্যাকুমারী থেকে জম্মু ও কাশ্মীর পর্যন্ত এই যাত্রা পথ নির্ধারিত করা হয়েছে। প্রতিদিন কংগ্রেস নেতাদের ২২ থেকে ২৩ কিলোমিটার পথ হাঁটতে হবে বলে জানা গিয়েছে।