ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে নিম্নচাপ! সুন্দরবন উপকূলে চরম সতর্কবার্তা প্রচার পুলিশের

এসে গেল ঘূর্ণিঝড়ের দিন! আবহাওয়া দফতর পূর্বাভাস দিয়েছে প্রবল বর্ষণের। সেইসঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনাও রয়েছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আবহাওয়া দফতরের পূর্বভাসে নড়চড়ে বসল জেলা প্রশাসন। শনিবার সকালে থেকে উপকূলবর্তী এলাকায় প্রচার চালানো হচ্ছে। মানুষজনকে সতর্ক করতে ঝড়খানি থানার পুলিশ আধিকারিকের নেতৃত্বে চলছে মাইকিং।

ঘূর্ণিঝড় হোক বা ঝোড়ো হাওয়া, উত্তাল হবে সমুদ্র

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হয়েচে। আগামী তিন-চারদিন শক্তি বাড়াতে থাকবে। তবে তা শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু উত্তাল হবে সমুদ্র। ঝোড়ো হাওয়াও বইবে আগামী ২-৩ দিন। গভীর নিম্নচাপের জেরে ৪৫ থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত হাওয়া বইতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহবিদরা।

ঝড়-ঝাপ্টা সবই নিতে হয় উপকূলবর্তী সুন্দরবনকে

বাংলায় দুর্যোগ মানেই প্রথমে তা আঘাত করে সুন্দরবনের উপর। সুন্দরবনকে লন্ডভন্ড করে দেয়। যে ঝড় হোক বা বৃষ্টি। ঝড়-ঝাপ্টা সবই নিতে হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলবর্তী এলাকাকে। এবার তাই সাবধানী প্রশাসন। মাইকিং করে আগাম সতর্কতা প্রচার করা হচ্ছে। শুধু সমুদ্রে নয়, যাঁরা নদী-খাঁড়িতে মাছ ধরতে গিয়েছেন, তাঁদেরও অবিলম্বে ফিরে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।

১০০টিরও বেশি ফ্লাড সেন্টার ও স্কুল তৈরি রাখা হয়েছে

বর্ষণ হোক বা ঘূর্ণিঝড় প্রশাসন তৈরি দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য। সুন্দনবন ছাড়াও বকখালি, গঙ্গাসাগরে পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে । জেলার ৬টি বিশেষ সিভিল ডিফেন্সের দলও তৈরি রাখা হয়েছে। মহকুমা অফিস ও ব্লক অফিসগুলিতে খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম।

জোড়া ফলায় মারাত্মক দুর্যোগের মুখে পড়তে হতে পারে

ভরা কোটাল চলছে, তার উপর সাগরে নিম্নচাপ। ফলে জোড়া ফলায় মারাত্মক দুর্যোগ হতে পারে। আবহাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা রয়েছে। ঘূর্ণিঝডে পরিণত না হলেও গভীর নিম্নচাপের জেরে এবং পূর্ণিমার ভরা কোটালে জলস্ফীতি ঘটতে পারে। তা থেকে সাবধান থাকতে হবে। মৎস্যজীবী থেকে শুরু করে পর্যটকদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

সুন্দরবনবাসীর মনে আজও টাটকা ১৩ বছর আগের স্মৃতি

সুন্দরবনবাসীর মনে আজও টাটকা ১৩ বছর আগের আয়লার স্মৃতি। তারপর ফণি, বুলবুল, আম্ফান এবং ইয়াসের স্মৃতিও ভোলেনি সুন্দরবনের মানুষজন। ফলে ভরাকোটাল আর প্রাকৃতিক দুর্যোগ মিলে গেলেই বুকটা কেঁপে ওঠে। কখন নদীর বাঁধ ভেঙে কী বিপত্তি ঘটে, সর্বদা আতঙ্কে থাকেন মানুষেরা। কখনও আবার দুর্যোগ কেটে রোদের দেখা মেলে সেই অপেক্ষায় দিন গোনে উপকূলবর্তী এলাকার মানুষ।

More WEATHER FORECAST News  

Read more about:
English summary
Weather office forecast storm can flow through West Bengal coast and heavy tide hit on.