বিরাটের প্রশংসায় সৌরভ
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিরাট কোহলির সম্পর্ক নিয়ে বিভিন্ন মহলে চর্চা রয়েছে। এমনকী একদিনের নেতৃত্ব হারানোর পর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাওয়ার আগে বিরাট বিসিসিআই সভাপতিকে মিথ্যাবাদী প্রতিপন্ন করতেও পিছপা হননি। কিন্তু সৌরভ বিরূপ কোনও মন্তব্যের পথে হাঁটেননি। এমনকী বিরাট যখন রান পাচ্ছিলেন না, সেই খারাপ সময়েও প্রাক্তন অধিনায়কের পাশেই ছিলেন বোর্ড সভাপতি। ওয়ানইন্ডিয়া বাংলাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে সৌরভ বলেছিলেন, বিরাট বড় প্লেয়ার। কীভাবে রানে ফিরতে হয় সেই কৌশল তাঁর জানা। বিরাট দ্রুত রানে ফিরবেন বলেও আশাপ্রকাশ করেছিলেন সৌরভ। তাঁর সেই বক্তব্যকে সঠিক প্রমাণিত করেছেন কিং কোহলি। এশিয়া কাপে এখনও অবধি তিনিই সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী। টি ২০ আন্তর্জাতিকে প্রথম শতরানও হাঁকিয়েছেন।
কোহলিকে এগিয়ে রাখলেন নিজের থেকে
টিআরএস ক্লিপস নামক ইউটিউব চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় সৌরভকে প্রশ্ন করা হয়েছিল মাঠে আগ্রাসী মেজাজের নিরিখে কোহলির সঙ্গে তাঁর তুলনা সংক্রান্ত বিষয়ে। সৌরভ কখনও পারস্পরিক তুলনার তত্ত্বে বিশ্বাসী নন। সৌরভের কথায়, তুলনা সব সময় হওয়া উচিত ক্রিকেটারদের দক্ষতার নিরিখে। বিরাট আমার চেয়েও বেশি দক্ষ। আমরা আলাদা প্রজন্মে ক্রিকেট খেলেছি। প্রচুর ম্যাচ খেলেছি। আমি একটা সময় খেলেছি, বিরাট এখনও খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমার চেয়েও বেশি ম্যাচ খেলবেন। এখনও অবধি ম্যাচের সংখ্যার নিরিখে আমি এগিয়ে থাকলেও বিরাট তা টপকে যাবেন। তিনি এক অসাধারণ ক্রিকেটার।
মিডিয়া স্ক্রুটিনি
নিজের জমানার তুলনায় এখনকার ক্রিকেটে অনেক বদল এসেছে। এখন সংবাদমাধ্যমে ক্রিকেটারদের খুঁটিনাটি অনেক বেশি করে বিশ্লেষণ হয়ে থাকে। সৌরভর বলেন, সমস্ত ক্রিকেটারকেই মিডিয়ার স্ক্রুটিনির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। সময়ের সঙ্গে নাম বদলায়। তবে আমি এই সব বিষয়ে বেশি নজর দিই না। আমি সব সময় কোনও হোটেলে গেলে রিসেপশনে প্রথমেই জানিয়ে দিই, সকালে আমার ঘরের সামনে সংবাদপত্র দেওয়ার দরকার নেই। তবে এখন শুধু সংবাদপত্রেই বিষয়টি আটকে নেই। কম্পিউটার বা ফোনে সোশ্যাল মিডিয়াতেও ক্রিকেটীয় বিষয়ে চর্চা নজরে পড়তে বাধ্য।
বদল এসেছে ক্রিকেটে
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সাক্ষাৎকারে আরও বলেন, এখন খেলা অনেকটাই আলাদা জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। খেলা অনেক বেশি ফাস্ট হয়েছে, অনেক বেশি চার-ছয় দেখা যায়। অফ স্টাম্পের বাইরের বল বেশি ছাড়েন না ব্যাটাররা। সবমিলিয়ে খেলার ধরন অনেকটাই বদলে গিয়েছে। আমি কোনও সময়ই ট্রমার শিকার হইনি। ভালো সময় যেমন গিয়েছে, তেমনই খারাপ সময় গিয়েছে। চাপও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকমের ছিল। এই চাপকে তরুণ ক্রিকেটারদের একেকটি সুযোগ হিসেবে দেখে এগিয়ে যেতে হবে। আমি অভিজ্ঞতার থেকেই এটা বলতে পারছি।