শুক্রবার একটি গণেশ পুজোর বিসর্জনে যোগ দিতে হায়দরাবাদ গিয়েছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। সেখানে টিআরএসের এক কর্মী মঞ্চে উঠে হিমন্ত বিশ্ব শর্মার মাইকে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করলে উত্তেজনা দেখা দেয়। হায়দরাবাদ পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযুক্ত টিআরএস নেতাকে পুলিশ আটক করেছে বলে গিয়েছে।
হায়দরাবাদের এমজে মার্কেটের ভাগ্যনগর গণেশ বিসর্জন উপলক্ষে একটা অনুষ্ঠান ও মিছিলের আয়োজন করা হয়। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি বক্তব্য রাখার পরে ভাগ্যনগর গণেশ উৎসব কমিটির এক নেতা বক্তব্য রাখছিলেন। সেই সময় স্থানীয় টিআরএসের এক নেতা মঞ্চে উঠে যান। তিনি হিমন্ত বিশ্ব শর্মার একটি মন্তব্যের বিরোধিতা করতে শুরু করেন। প্রতিবাদে তিনি মাইক ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করেন। অভিযোগ করা হয়েছে, স্থানীয় ভক্তদের সঙ্গে টিআরএসের কর্মী, সমর্থকরা মিশে ছিলেন। তাঁদের মূল পরিকল্পনা ছিল অশান্তি সৃষ্টি করা। হায়দরাবাদ পুলিশ অভিযুক্ত টিআরএসের স্থানীয় নেতা নন্দকিশোরকে নিজের হেফাজতে নেয়।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার এক মন্তব্যের বিরোধিতা করেই টিআরএস নেতা মাইক ভাঙার চেষ্টা করেছিলেন। গণেশ উৎসবের বিসর্জনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি নেতা তথা অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, তেলেঙ্গানার প্রতিটি পরিবার নানা ধরনের সমস্যায় জর্জরিত। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের একটি মাত্র পরিবার সুখী। তিনি নাম না করে কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের পরিবারের কথা উল্লেখ করেন।
তেলেঙ্গানায় বিজেপি মোটেই সুবিধাজনক অবস্থানে নেই। নবী নিয়ে সম্প্রতি বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বিজেপি তেলেঙ্গানায় বিধায়ক টি রাজা সিংকে দলের সমস্ত দায়িত্ব থেকে বহিষ্কার করেছে। নবী নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে ১০ মিনিটের একটি ভিডিও অগাস্টের শেষের দিকে টুইটারে প্রকাশ করেন। মুহূর্তের মধ্যে তা ভাইরাল হয়ে যায়। বিভিন্ন জায়গায় সাম্প্রদায়িক অশান্তির সৃষ্টি হয়। ঘটনার পরের দিন সকালে বিজেপি বিধায়ককে পুলিশ গ্রেফতার করে।
বার বার সোশ্যাল মিডিয়ায় উসকানি মূলক ভিডিও প্রকাশ করার অভিযোগ রয়েছে তেলেঙ্গানার বিজেপির এই বিধায়কের বিরুদ্ধে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে টি রাজা সিং উসকানিমূলক ভিডিও পোস্ট করেছিলেন বলে অভিযোগ যা উত্তরপ্রদেশের ভোটারদের আতঙ্কিত করবে। এছাড়াও এপ্রিলে ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় উসকানি মূলক ভিডিও প্রকাশের অভিযোগ আসে তাঁর বিরুদ্ধে। যদিও সেই সময় বিজেপি কোনও রকম ব্যবস্থা নেয়নি। কিন্তু নবী নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে গ্রেফতার হওয়ার পরেই বিধায়কের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয় বিজেপি।
ফের কংগ্রেসের সভাপতি! 'ভারত জোড়ো’ কর্মসূচি থেকে কী বললেন রাহুল গান্ধী