ভারত এশিয়া কাপের সফলতম দেশ। যদিও এবার ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয়েছে মেন ইন ব্লু। সুপার ফোরে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে নিয়মরক্ষার ম্যাচে বড় জয় এসেছে বিরাট কোহলির ব্যাট আর ভুবনেশ্বর কুমারের দুরন্ত বোলিংয়ের সৌজন্যে। টি ২০ আন্তর্জাতিকে প্রথম তথা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৭১তম শতরান হাঁকিয়ে ম্যাচের সেরা হন বিরাট কোহলি। এখনও অবধি এই টুর্নামেন্টে তিনিই সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী।
বিরাট কোহলি এবারের এশিয়া কাপে একটি শতরান ও দুটি অর্ধশতরান হাঁকিয়েছেন। লোকেশ রাহুলের সঙ্গ ওপেন করতে নেমে শতরান পান বিরাট কোহলি। ২০১৯ সালে ইডেনে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট শতরানের পর এই প্রথম শতরান এলো বিরাট কোহলির ব্যাট থেকে। কিং কোহলির ফর্ম নিশ্চিতভাবেই টি ২০ বিশ্বকাপের আগে স্বস্তি এনেছে ভারতীয় শিবিরে। বিরাট নিজেও এই শতরানের জন্য কতটা মুখিয়ে ছিলেন তা স্পষ্ট হয়েছে তাঁর সেলিব্রেশনেও।
বিরাট কোহলির শতরান তাঁর উপর থেকে বোঝা অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে বলে দাবি করেছেন রবি শাস্ত্রী। বিরাটের এই শতরান প্রসঙ্গে ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচ শাস্ত্রী সম্প্রচারকারী চ্যানেলে বলেন, ১০২০ দিনের মধ্যে অন্তত ৭০০ দিন আমি বিরাটের সঙ্গে একই ড্রেসিংরুমে কাটিয়েছি। এটা একটা দীর্ঘ সময়। বিরাট কোহলির ৭০টি আন্তর্জাতিক শতরান যে সময়ের মধ্যে এসেছে তা চমকপ্রদ। ফলে সেই বিরাট যখন এক, দুই, আড়াই, পৌনে তিন বছর খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন সকলেরই মনে হয়েছে কতটা দীর্ঘ সময় ধরে শতরান নেই কোহলির ব্যাটে! কিন্তু মনে রাখতে হবে বিরাটও একজন মানুষ।
রবি শাস্ত্রী আরও বলেন, যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে বিরাটকে যেতে হচ্ছিল তা তাঁকেও কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছিল। প্রত্যেক দিন সকালে উঠে শতরান না পাওয়ার কথা তিনি হয়তো ভাবেননি। কিন্তু নিশ্চিতভাবেই অবচেতনেও বিষয়টি তাঁর মন ছুঁয়ে গিয়েছে। আমার ধারণা, বিরাট কোহলির অন্তত ৫ কেজি ওজন কমে গিয়েছে এই শতরান পাওয়ার পর। মাথা থেকে সেই বোঝা নেমে গিয়েছে। যা তাঁর ইনিংসের শেষ ৪০ রানের সময় স্পষ্ট। এই তো চেনা বিরাট কোহলি। তাঁর চিরপরিচিত শট, আত্মবিশ্বাস দেখা গিয়েছে ব্যাটিং করার সময়। কিছুটা সময় লাগলেও চেনা ছন্দেই ফিরেছেন বিরাট। উল্লেখ্য, ইংল্যান্ড সফরের পর কয়েক সপ্তাহ বিশ্রামে কাটিয়েছেন বিরাট। তা মানসিকভাবে ও শারীরিকভাবে তরতাজা তো করেছেই, ফিরিয়েছে চেনা ফর্মে।