অনুব্রত মণ্ডলের ডায়লগ কি আর শোনা যাবে? মঙ্গলকোট বেকসুর মামলায় খালাস পাওয়ার পর অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট ফের দরজা ঘোষণা করলেন। শুক্রবার তাঁকে মঙ্গলকোট মামলায় বেকসুর খালাস করে দেওয়া হয়। তারপরই তিনি কলকাতা থেকে আসানসোল সংশোধনাগারে ফেরার পথে স্বমহিমায় প্রতিভাত হন।
বৃহস্পতিবার অনুব্রত মণ্ডলকে বীরের সম্মান দিয়ে জেল থেকে ছাড়িয়ে আনার বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর দিনই অনুব্রত মণ্ডল বেকসুর খালাস পেলেন মঙ্গলকোট মামলায়। তারপর তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন, সত্যের জয় হল। গরু পাচার মামলাতেও তিনি বেকসুর খালাস পাবেন।
হুগলির গুড়াপের কাছে একটি ধাবায় মধ্যাহ্নভোজ করানো হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। তারপর খোজমেজাজেই তিনি বলেন, দিদি পাশে আছেন এটাই এনাফ। পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে তিনি এদিন মন্তব্য করেন। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তাঁর বিখ্যাত ডায়লগ কি আর শোনা যাবে? তিনি এই কথার প্রত্যুত্তরে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন।
অনুব্রত বলেন, এখন ওসব কিছু বলব না। ভোট ঘোষণাই হয়নি। অর্থাৎ তিনি বুঝিয়ে দেন ভোট ঘোষণা হলে তাঁকে স্বমহিমায় দেখা যেতে পারে। তখন শোনা যেতে পারে নতুন ডায়লগ। যেহেতু পঞ্চায়েত ভোট এখনও বাকি, এখনও তা ঘোষণা হয়নি। তিনি এসব ব্যাপারে কিছু বলবেন না। যা বলার বলবেন পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হলে।
এর আগে ভোটের মুখে তাঁর নানা ডায়লগ বিখ্যাত হয়েছিল। তাঁর 'গুড় বাতাসা' থেকে 'নকুলদানা', 'চড়াম চড়াম' থেকে 'পাচন' বাণী বা 'রাস্তায় উন্নয়ন দাঁড়িয়ে আছে' সূচক বাণী বাজার গরম করেছিল। এখন তিনি গরু পাচার-কাণ্ডে জেল হেফাজতে। তার মাধে মঙ্গলকোটের বিস্ফোরণ মামলায় তাঁরে বেকসপর খালাস করে দেওয়া হয়। তথ্য-প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস হওয়ার পর অনুব্রত মণ্ডল দাবি করেন, সত্যের জয় হল, এবার অন্য সব মামলাতেও তিনি বেকসুর হবেন।
অনুব্রত মণ্ডল এদিন কেষ্ট-সুলভ ডায়লগ না দিলেও কিছু বক্তব্যে, পুরনো মেজাজে পাওয়া যায় তাঁকে। তিনি বলেন, আমি কি অন্যায় করেছি নাকি, খালি দেখে যাও। কোনও অন্যায় করিনি। তাই সবেতেই বেকসুর খালাস পাবো। অনুব্রত এদিন বলেন, আমরা চাই সুস্থভাবেই ভোট হোক। ভদ্রভাবে সুস্থভাবে মানুষ ভোট দিন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে কোনও গন্ডগোল হয়েছিল কি? সেইরকমই ভোট হবে। মঙ্গলকোট মামলায় বেকসুর খালাসের থেকেও দিদি যে তাঁর পাশে রয়েছেন, তাতেই ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে অনুব্রত।