কংগ্রেসের পরবর্তী সভাপতি নির্বাচন আসন্ন। এই প্রসঙ্গে রাহুল গান্ধী বলেন, 'আমি কংগ্রেসের পরবর্তী সভাপতি হব কি না, তা নির্বাচন হলে বোঝা যাবে।' পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, 'আমি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করলে তার কারণও প্রকাশ্যে আনব।' সম্প্রতি কংগ্রেসের একাধিক প্রবীণ নেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করে দল ছেড়েছেন। যার জেরে কিছুটা অস্বস্তিতে রয়েছে কংগ্রেস। অন্যদিকে, কন্যাকুমারী থেকে কংগ্রেসের 'ভারত জোড়ো' যাত্রা ক্রমেই উত্তর দিকে এগোচ্ছে।
বৃহস্পতিবার কন্যাকুমারী থেকে কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু হয়েছে। ক্রমশ এই যাত্রা উত্তরের দিকে এগোবে। কংগ্রেসের এই ভারত জড়ো যাত্রার শীর্ষভাগে রয়েছে দলের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। এই ভারত জোড়ো যাত্রা সম্পর্কে রাহুল গান্ধী বলেন, 'এই যাত্রার আলাদা একটা রাজনৈতিক তাৎপর্য রয়েছে। কংগ্রেসের এই যাত্রার মাধ্যমে আমি আমাদের দেশ সম্পর্কে আরও নতুন অনেক কিছু জানতে পারব। শিখতে পারব। আগামী দুই তিন মাস পরে আমি আমাদের দেশকে আরও গভীরে জানতে পারব বলে আশা করছি।' পাশাপাশি রাহুল গান্ধী দাবি করেছেন, বিজেপি দেশের অনেক ক্ষতের সৃষ্টি করেছে। সেই ক্ষত পূরণের লক্ষ্যেই এই যাত্রা শুরু হয়েছে।
রাহুল গান্ধী মন্তব্য করেন, 'দেশের অভ্যন্তরে দুটো মতাদর্শ রয়েছে। এই দুই মতাদর্শের মধ্যে হাজার হাজার বছর ধরে লড়াই চলে আসছে। ভবিষ্যতেও এই দুই মতাদর্শের মধ্যে লড়াই চলবে। আমরা আমাদের মতাদর্শ পালন করছি। তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপি সমস্ত প্রতিষ্ঠান নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। সব জায়গায় নিজেদের লোক ঢুকিয়েছে। বিজেপি বিরোধীদের নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। এই লড়াই মোটেই সহজ নয়। তবে আমরা এই লড়াই করতে প্রস্তুত।'
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই কংগ্রেস এই 'ভারত জোড়ো কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। যদিও কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, কর্মসূচির সঙ্গে লোকসভা নির্বাচনের কোনও যোগ নেই। দেশকে এক সূত্রে গাঁথতেই এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ১৫০ দিনের এই কর্মসূচিতে ৩৫৭০ কিলোমিটার অতিক্রম করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এই যাত্রায় রাহুল গান্ধী সহ কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতারা অংশগ্রহণ করেছেন। তবে যাত্রাপথে তাঁরা কোনও হোটেলে থাকবেন না। তাঁদের জন্য ৬০টি কন্টেনারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে এসি, শৌচালয় সহ একাধিক সুবিধা রয়েছে। কন্যাকুমারী থেকে জম্মু ও কাশ্মীর পর্যন্ত এই যাত্রা পথ নির্ধারিত করা হয়েছে। প্রতিদিন কংগ্রেস নেতাদের ২২ থেকে ২৩ কিলোমিটার পথ হাঁটতে হবে বলে জানা গিয়েছে।