চলতি বছর অসম বৃষ্টিপাতের জেরে দেশে ধান উৎপাদানের হার অনেকটা কমে গিয়েছে। দেশের খাদ্য সচিব সুধাংশু পাণ্ডে জানিয়েছেন, চলতি বছর একাধিক রাজ্যে খরা পরিস্থিতি দেখতে পাওয়া গিয়েছে। ধানের উৎপাদন অনেকটা কম হয়েছে। যার জেরে ধানের রফতানির ওপর বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, বিভিন্ন দেশে খাদ্যদ্রব্যে মুদ্রাস্ফীতির কারণেও চাল রফতানিতে একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে খাদ্য সচিব সুধাংশু পাণ্ডে জানিয়েছেন, ২০২২-২৩ সালে ধানের উৎপাদন অনেকটা কম হবে। তিনি জানিয়েছেন, চলতি অর্থ বর্ষে দেশে ৭ থেকে ৮ মিলিয়ন টন কম ধান উৎপাদন হতে পারে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে ১২ মিলিয়ন টন কম ধান উৎপাদন হতে পারে। চার রাজ্যে খরা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে ধান বপনের পরিমাণ প্রায় ৩৮.০৬ লক্ষ হেক্টর কমেছে। এরফলে ধান উৎপাদন ১০ মিলিয়ন টন কম হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তবে পরিস্থিতি খারাপ হলে এই ক্ষতির পরিমাণ ১২ মিলিয়ন টন হয়ে যেতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন।
বিশ্বে দ্বিতীয় ধান উৎপাদনকারী দেশ ভারত। সব থেকে বেশি ধান উৎপাদন হয় চিনে। তবে বিশ্বে ধানের ৪০ শতাংশ রফতানি ভারত থেকে হয়। বিভিন্ন ধরনের ধান রফতানি করা হয়। বিদেশের সঙ্গে সঙ্গে ভারতের অভ্যন্তরে ভাঙা চালের চাহিদা বেশি। সুধাংশু পাণ্ডে জানিয়েছেন, দেশের চাহিদাকে অগ্রাধিকার দিতে ভাঙা চাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বাসমতি নয়, এমন চালের রফতানিক ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক কর আরোপ করা হয়েছে।
খাদ্য সচিব সুধাংশু পাণ্ডে জানিয়েছেন, দেশে ধান উৎপাদনকারী চারটি রাজ্যে চলতি বছর অত্যন্ত কম বৃষ্টি হয়েছে। যার জেরে চাল রফতানিতে একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে এখনও পর্যন্ত ভাঙা চালের দাম বেড়েছে ৩৮ শতাংশ। গত বছর এপ্রিল থেকে অগাস্টের মধ্যে ভাঙা চালের রফতানির পরিমাণ ১.৫৮ মিলিয়ন টন ছিল। চলতি বছর ওই সময়ের মধ্যে ভাঙা চালের রফতানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২.১৩ মিলিয়ন টন।
খাদ্য সচিব সুধাংশু পাণ্ডে দেশবাসীকে আস্বস্ত করে জানিয়েছেন, চলতি বছর ধানের ফলন কম হয়েছে। তবে ভারত অভ্যন্তরে চালের চাহিদা মেটাতে সক্ষম। দেশের অভ্যন্তরে চাহিদাকে গুরুত্ব দিতেই ভারত চাল রফতানির ওপর একাধিক বিধি নিষেধ জারি করেছে।